মো. আমিনুল ইসলাম (পাবনা) : উপজেলা কৃষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোদাগাড়ী, রাজশাহী এর আয়োজনে গত ২২ তারিখে “Integrated Agricultural Development for Nutrition Improvement in the North-Western Region of Bangladesh” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জাতিসংঘের “খাদ্য ও কৃষি সংস্থা”/ FAO এর অর্থায়নে উপজেলা কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস এবং প্রাণীসম্পদ অফিসের কৃষক- কৃষাণীদের নিয়ে ” Homestead Gardening towards Nutrition Sensitive Agriculture and Healthy Diet” এর ওপর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গোদাগাড়ীর কৃষক প্রশিক্ষণ হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর এফএও লিড এগ্রোনমিস্ট প্রফেসর ড. আবদুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক মোসা: উম্মে সালমা খাতুন এবং মো. রেজাউল করিম রতন।
প্রধান অতিথি বলেন, খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার সমূহের মধ্যে অন্যতম। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত হলেও পুষ্টি নিরাপত্তার দিক থেকে পিছিয়ে আছে। তাই বিকল্প জমি বৃদ্ধির মাধ্যমে মাছ, মাংস, ডিম, ফল, সবজি উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ আমাদেরকেই নিতে হবে । তিনি আরো বলেন একদিকে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় হবে অপরদিকে উদ্বৃত্ত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। পরিশেষে তিনি প্রতি জনকে ১৭টি করে ফলের চারা এবং ১২ ধরনের সবজি বীজ বিতরণ করেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাস্তবে আমরা দেখছি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের জন্য খাদ্যের এ সব উপাদান বহনকারী মাছ, মাংস, ডিম, ফল, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থায় চলে এসেছে। অর্থাৎ সুষম খাদ্যের ছয়টি প্রধান উপাদান কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং পানির কোনোটিরই তেমন অভাব নেই। তাই স্বীকার করতেই হবে সুষম খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের জানার অভাব রয়েছে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে অনীহা আছে। আমরা যখন খাদ্য গ্রহণ করি তখন পুষ্টিকর কি না, তা চিন্তা না করে মুখোরোচক হলো কি না, তাতে বেশি গুরুত্ব দেই। এজন্য দেখা যাচ্ছে হাতের কাছে অনেক পুষ্টিকর খাবার থাকার পরেও আমাদের সচেতনতার অভাবে তা গ্রহণ করি না।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, কৃষিবিদ মো: মতিয়র রহমান।
এ ছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলার ১০০জন কৃষক-কৃষাণী এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।