বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষায় করোনাকালেও কাজের বিকল্প নেই -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাকালে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষায় কাজ করার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

এ সময় তিনি বলেন, “করোনাকালে আমাদের কর্মকান্ড বন্ধ রাখলে রাষ্ট্রব্যবস্থা স্থবির হয়ে যাবে। দেশ অচল হয়ে যাবে। উন্নয়ন ব্যাহত হবে। মানুষের প্রয়োজনীয় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার অধীন সহকর্মী হিসেবে আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষা করতে হলে, অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হলে, রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হলে কাজ করার কোন বিকল্প নেই।”

রবিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে সম্প্রতি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হাতে এবং গ্রেড-২ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একজন পরিচালকের হাতে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন তুলে দেয়া শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, যুগ্মসচিব শাহীন মাহবুবা ও মোঃ হামিদুর রহমান, উপসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, হাফছা বেগম, নাদিরা হায়দার ও মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন “গ্রেড উন্নয়নের মাধ্যমে দাপ্তরিক সম্মান বৃদ্ধির সাথে সাথে কাজের গতি আরো বাড়াতে হবে। কাজের ভেতর নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা আরো বাড়াতে হবে। সততাকে আরো বেশি সামনে নিয়ে আসতে হবে। দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনিটর করা, সংগঠিত করা ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে।”

‍কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “দাপ্তরিক সকল কাজে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। দাপ্তরিক শিষ্টাচার, পরিমিতিবোধ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এখন একটা স্বর্ণযুগের মধ্যে আছে। এ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত বিকশিত হবে। মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তর-সংস্থাকে পূর্ণাঙ্গ রূপে নেয়া হবে। যেনো কর্মকর্তারা জনগণের একেবারে কাছে যেতে পারে। জনগণ অফিসমুখী না হয়ে আমরা যেনো জনগণমুখী হই সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

এর আগে সম্প্রতি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের হাতে এবং গ্রেড-২ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন তুলে দেন মন্ত্রী। একইসাথে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

উল্লেখ্য,  মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদটি গ্রেড-১ এ উন্নীত হবার পর এ পদে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন কাজী শামস্ আফেরোজ।

This post has already been read 3990 times!

Check Also

প্রশিক্ষিত হয়ে ক্যাডেটরা হতে চলেছে গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কান্ডারী- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি হতে প্রশিক্ষিত হয়ে …