এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ভালো মানের ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের খামারিদের কাছে অনেকদিনের চাহিদা। কারণ, ক্ষুরারোগ গবাদি প্রাণীর অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ। এ রোগের কারণে আমাদের দেশে বছরে প্রায় ১০০০ কোটি টাকারও বেশী আর্থিক ক্ষতি হয়। ক্ষুরারোগে একবার আক্রান্ত হলে প্রাণীর উৎপাদন আর কখনোই আগের অবস্থায় ফিরে আসে না এবং বাঁছুরের হলে মারাও যেতে পারে। ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় একমাত্র স্থানীয় ভাইরাসের সাথে মিল রেখে তৈরি একটি কার্যকরী ভ্যাকসিনই পারে ক্ষুরারোগ প্রতিরোধ করতে।
ক্ষুরাভ্যাক্স TM ভেট (KhuravaxTM Vet) OIE নির্দেশনা এবং ইউরোপিয়ান ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন। এতে রয়েছে টাইপ O, A, ASIA 1 তিনটি সেরোটাইপ যা বাংলাদেশের গরুতে ক্ষুরারোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত ক্ষুরাভ্যাক্স TM ভেট-ই একমাত্র OIE গাইডলাইন মেনে চ্যালেঞ্জ টেস্টেড ভ্যাকসিন। ক্ষুরাভ্যাক্স TM ভেট সরাসরি বাংলাদেশে গরুর উপর পরীক্ষিত ভ্যাকসিন। ইনসেপ্টার রয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন কোল্ড চেইন সিস্টেম যার মাধ্যমে ফ্যাক্টরী থেকে কেমিস্টের দোকান পর্যন্ত +২ ০সে. থেকে +৮ ০সে. তাপমাত্রা নিশ্চিত হয় যাতে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সঠিক থাকে। ক্ষুরাভ্যাক্স TM ভেট ৫ ডোজ (৪০০ টাকা) এবং ১০ ডোজ (৭০০ টাকা) প্যাকে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
মাত্রা ও প্রয়োগবিধি:
বয়স এবং প্রাণীর ওজন যাই হোক না কেন, নিম্নলিখিত মাত্রা ও সময়সূচী অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে-
গরু, মহিষ ও বাছুর: ২ মি.লি. ডিপ গ্লুটিয়াল মাংসপেশীতে
ছাগল ও ভেড়া : ১ মি.লি. ডিপ গ্লুটিয়াল মাংসপেশীতে
১ম ভ্যাকসিনেশন: ৩-৪ মাস বয়স এবং এর পর থেকে
বুস্টার: প্রাথমিক ভ্যাকসিনেশন-এর ১-১.৫ মাস পর
রি-ভ্যাকসিনেশন: প্রতি ৪ মাস পর পর।
OIE গাইডলাইন অনুযায়ী রিভ্যাকসিনেশন করতে হবে ৬ মাস পর পর কিন্তু বাংলাদেশ অত্যধিক সংক্রমণ প্রবন অঞ্চলে হওয়ায়, ৪ মাস পর পর ভ্যাকসিন দিলে গবাদিপ্রাণি ক্ষুরারোগ মুক্ত থাকবে।
অথবা, রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান-এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য।