আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা প্রতিরোধে ফাইজার এবং বায়োএনটেকের একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেন সরকার। এখন কয়েক দিনের ভেতর দেশটিতে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার কিছু পরে মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) থেকে ভ্যাকসিন অনুমোদনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরামর্শ গ্রহণ করেছে সরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ফাইজারের টিকা নিরাপত্তার কঠিন সব শর্ত অনুসরণ করেছে।’
টিকা বিষয়ক কমিটি কয়েক ঘণ্টা পর টিকাদান কর্মসূচির বিস্তারিত জানাবে। কাদের আগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে, তখন সেটি জানা যাবে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক টুইটে বলেছেন, ‘সাহায্য আসছে। এমএইচআরএ আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা অনুমোদন দিয়েছে।’
‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ক্লিনিকাল অনুমোদন পেল।’ এর আগে রাশিয়া ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলেও সেটি মানেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। কারণ, ওই সময় রাশিয়ান টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল জানা ছিল না।
ফাইজার ইতিমধ্যে তাদের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটির দাবি, ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।
এখনও পর্যন্ত ছয়টি দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ জনের শরীরে ফাইজার ও বায়োএনটেক টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়নি।
সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
এই টিকার ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ‘প্রশিক্ষিত’ করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়।
আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে অ্যান্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরও একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়।