নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকতে দরকার নিরাপদ খাবার গ্রহণ। তাই সরাসরি খেতে হয় এমন ফসলে রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করা ঠিক নয়। এজন্য প্রয়োজন জৈব বালাইনাশক ব্যবহার। এর মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত হবে। চাষিরা পাবেন পণ্যের উচ্চমূল্য। ভোক্তারাও হবেন উপকৃত। আজ বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে (আরএআরএস) পান, সুপারি ও নারিকেল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির ওপর দিনব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন। গেস্ট অব অনার ছিলেন কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাসমান কৃষির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. তাওফিকুল আলম, বিএআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পটুয়াখালীর আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইদ্রিস আলী হাওলাদার, আরএআরএস’র ঊধর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনওয়ারুল মোনিম, এসএসও মো. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাস এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।