শনিবার , ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৫

চালের দাম এত কেন বাড়বে প্রশ্ন কৃষিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছর দুই দফা বন্যার কারণে আউশ ও আমন ফলনের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদনের যে পরিসংখ্যান সরকারের হাতে আছে, তাতে চালের এত ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। অথচ বিদেশ থেকে আমাদের চাল আমদানি করতে হচ্ছে। সরকারের ঘরেও চাল নেই। আমরা চাল কিনতেও পারি নাই। কিছু ভুলভ্রান্তিও আমাদের আছে। তারপরেও চালের দামটা কেন এভাবে বাড়তেছে, আমার কাছে বোধগম্য নয়। এত কেন বাড়বে। এমন নয় যে, বাজারে চাল নেই। দুর্ভিক্ষ হলে বাজারে চাল পাওয়া যায় না, চালের ঘাটতি থাকে। এখন বাজারে যথেষ্ট চাল আছে। দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।  ১-২ টাকা বাড়াও কিন্তু অনেক বাড়া। সেখানে ৩২-৩৩ টাকার মোটা চাল ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণগুলো কি?

মন্ত্রী রবিবার  (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআিইবি) অডিটরিয়ামে দিনব্যাপি এক কর্মশালায় এ কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়- প্রথম সংশোধিত)’ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এ সময় তিনি আগামী বোরো উৎপাদন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অপ্রচলিত ও উচ্চমূল্য ফসলের আবাদ বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, পতিত জমিগুলো কিভাবে আবাদের আওতায় আনা যায় এবং কোন ফসল কোন জায়গায় ভালো হয় তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের সৃজনশীল পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পেয়াজ ৮-১০ লাখ টনের মতো আমদানি করতে হয়ে। এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্চ। আগে এক সময় আমাদের পেয়াজ উদ্বৃত্ত থাকতো, কোনো ঘাটতি ছিলো না। এখন অনেকে পেয়াজ কম করে। এছাড়াও আমাদের পেঁয়াজ বীজের ক্রাইসিস রয়েছে। এ নিয়ে ভাবতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ডাল আমাদের কম ছিলো। ইদানিং ডালের উৎপাদন বেড়ে ৮-৯ লাখ হয়েছে। পটুয়াখালীতে এখন ১ লাখ টনেরও বেশি ডাল হচ্ছে। দেশে মুগডাল উৎপাদনের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।  প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি করতে হয়। ডাল, তেল, মসলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

This post has already been read 5493 times!

Check Also

কোন অবস্হাতেই ডিম ও মাংস আমদানি করতে চাইনা – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিম ও মাংস আমদানি নিরুৎসাহিত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, …