শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

খুলনায় বারি হাইব্রিড জাতের টমেটোর বাম্পার ফলন

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনা জেলায় এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ৯ উপজেলায় ৯২০ হেক্টরের মতো জমিতে  মঙ্গল রাজা,  লাভলী, মিন্টু সুপার, বারি হাইব্রিড-৪, বারি হাইব্রিড-৮ ইত্যাদি জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টমেটো চাষ হয়েছে ডুমুরিয়া উপজেলায় উপজেলায়। অপেক্ষা বাজারে ওঠার।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে খুলনায় ৯২০ হেক্টর জমিতে  আবাদ হয়েছে। এ বছর টমেটোসহ  ২৬ ধরনের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯১০। ইতিমধ্যে ৬৬৯০ হেক্টর জমিতে চাষ সম্পন্ন হয়েছে।

ডুমুরিয়ার কৃষক সোলায়মান হক বলেন, এক বিঘা জমিতে মাত্র ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র ৪-৫ মাসে ১-১.৫ লাখ টাকা লাভ করা যায়। টমেটোর চারার বয়স ২৫ দিন হলে জমিতে লাগানো এবং লাগানোর ২০-২৫ দিন পর থেকে ফুল আসা শুরু করে। প্রায় ৩৫-৪০ দিন পর থেকে ফল পাওয়া যায়। একটি গাছে প্রায় ৩০ টাকা খরচ হয় এবং প্রায় ৫-৬ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০০-২৫০ টাকা।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, তার উপজেলা সবজির আবাদের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এখানে গ্রীষ্মকালে ৮০ হেক্টর  জমিতে টমেটো আবাদ হয়। যা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এক একটি গাছে ৫-৬ কেজি করে টমেটো ধরেছে। পাশাপাশি শীতকালীন টমেটো চাষ হয়েছে ১২০ হেক্টর জমিতে। এখানে মঙ্গল রাজা,  লাভলী, মিন্টু সুপার, বারি হাইব্রিড-৪, বারি হাইব্রিড-৮ ইত্যাদি জাতের টমেটোর আবাদ হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি টমেটোর আবাদ হয়েছে ধামালিয়া ইউনিয়নের কাটেঙ্গা, খর্নিয়া ইউনিয়নের খর্নিয়া এবং গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিলপাবলা গ্রামে। সার, বীজ, প্রশিক্ষণ এবং মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। অন্যন্য ফসলের মতো বেচতে সমস্যা না হওয়ায় এবং বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন এটির আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

This post has already been read 3571 times!

Check Also

মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি ও সুষম সার ব্যবহার বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পাবনা সংবাদদাতা: পাবনা’র ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মৃত্তিকা সম্পদের যৌক্তিক ও লাভজনক ব্যবহার, মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি …