বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ১৪ ২০২৪

ভারত তাদের সুবিধামতো পেঁয়াজ রপ্তানি করে এবং বন্ধ করে দেয় -বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রতীকি ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, ভারত তাদের সুবিধা মত পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করে এবং রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর না থেকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উন্নতমানের বিজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদনকারীদের উৎসাহ প্রদান করে দ্রুত পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৪-৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া, ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ পাউউডার বানিয়ে বাজারজাত করা।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ রবিবার (০৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ভোক্তা এবং উৎপাদনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। পূর্বে এলসি করা পেঁয়াজগুলো এখন দেশে প্রবেশ করছে। এগুলোর বর্তমান আমদানি মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৩৯ টাকা। নতুন আমদানির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দেশের পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে আগামী মার্চ মাসে। গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। বর্তমানে দেশে ৮-৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। সরকার পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে। আশা করা যায় আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পন্ন হবে। পেঁয়াজের বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলুর দর নেমে এসছে। বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাবার কারনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি সাশ্রয়মূল্যে বাজারে আলু বিক্রয় করেছে। আলুর মূল্য এখন স্বাভাবিক। ভোজ্য তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে।  এটি একটি আমদানি নির্ভর পণ্য। সে কারনেই বাংলাদেশে এর সাময়িক প্রভাব পরেছে। তবে, অসৎ উপায়ে যাতে পণ্যের মূল্য কেউ বাড়াতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। এ মহুর্তে আমাদের চালের মজুত কিছুটা কম রয়েছে। সে জন্য সরকার চাউল আমদানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে চাউল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় মজুত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চাউল সরকার আমদানি করবে। প্রয়োজনে বেসরকারি পর্যায়েও চাউল আমদানির সুযোগ প্রদান করা হবে।

This post has already been read 2791 times!

Check Also

অ্যামচেম এর সাথে বিডার সংলাপ

আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ আজ ( সোমবার ,২১ অক্টোবর) রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে …