নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্যারাভান রোড শো’র শুভ উদ্বোধন করা হয়। সোমবার (১১জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ক্যারাভান রোড শো’র উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিতরণ করা হয় জনসচেতনতামূলক লিফলেট।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপদ কিনা আগে জানতে হবে। প্রতিটি খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায় পার হয়ে খাবার টেবিলে পৌঁছায়। খাবার টেবিলে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে হবে। বাজার থেকে আমরা যে শাকসবজি ফলমূল নিয়ে আসছি তা ঠিকমতো ধোয়া হয়েছে কিনা? কিংবা শাকসবজি তরিতরকারি যিনি রান্না করছেন সেই কাজের মেয়েটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছে কিনা? তাও নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে বাহ্যিকভাবে ডেকোরেশন খুব সুন্দর কিন্তু রান্না ঘরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর, নোংরা; এদিকটাতেও খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মজুদদার, কালোবাজারি এবং খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে স্পেশাল অ্যাক্ট -এ মামলা করার বিধান রেখেছিলেন এবং সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড।
নতুন প্রজন্মকে ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতন করে গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুলের শিক্ষকেরা যদি প্রথম ক্লাসে ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক দু-এক মিনিট বক্তব্য দেন তাহলে নতুন প্রজন্ম শুরু থেকেই ভেজালের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। শিক্ষকদের পাশাপাশি আমাদের দেশের জনগণ মসজিদের ইমাম এবং মন্দিরের পুরোহিতদের কথা মান্য করে বেশি। যদি প্রত্যেক জুম্মার নামাজের আগে মসজিদের ইমামগণ বয়ানের সময় ভেজালের বিরুদ্ধে দু’এক মিনিট বক্তব্য দেন তাহলে তা জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও মিডিয়াকর্মী-সাংবাদিকবৃন্দও জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে ভেজালের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে পারেন। সকলের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি আমরা কেউ নিজে ভেজাল দেব না, ভেজাল খাব না, অন্যকেউ ভেজাল দিতে দেবনা।
অনলাইন মিটিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, সাপাহার উপজেলা নির্বাহি অফিসার কল্যাণ চৌধুরী, সাপাহারর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।