নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বেকারত্ব বাড়বে, ঠিক নয়। বরং যান্ত্রিকীকরণে কোনো ক্ষতি ছাড়াই কৃষক হাওড়ের বোরো ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। কৃষি সেক্টরে অনেক ইনোভেশন আছে। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের কৃষি আরো এগিয়ে যাবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করবো। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি খুবই দৃঢ়। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী নির্দেশনায় আমরা ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে যাবো।
আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে ‘কোভিড-১৯ এর অভিঘাত মোকাবিলা এবং ভলিন্টারি ন্যাশনাল রিভিউ (ভিএনআর) ২০২০ দাখিল পরবর্তী এসডিজি-০২ অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। কৃষি নীতিকে সামনে রেখে কৃষি মন্ত্রণালয় অনেকগুলো কাজ করে যাচ্ছে। উন্নত বাংলাদেশের কৃষি কেমন হবে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। উৎপাদন দ্বিগুন করতে উন্নত প্রযুক্তি দরকার। এজন্য উন্নত কৃষি গবেষণায় জোর দিতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। কৃষিতে যুবক ও তরুনরা আসলে বাংলাদেশের কৃষির চিত্র পাল্টে যাবে।
বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ। কর্মশালায় ৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্মসচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরো মনোনীত আইডিই বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো. আফজাল হোসেন ভূঁইয়া, এফএও’র প্রতিনিধি ফারজানা বিনতে ফেরদৌস, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণারয়ের প্রতিনিধি উপসচিব মো. আবদুর রহমান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান।