কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : আবহমান কাল থেকেই আমাদের দেশে সরিষার তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ব্যবহারে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং সহজেই হজমকারক। এই ফসলটি বেশি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে যেন রপ্তানি করে দেশকে সাবলম্বি করতে পারি এবং নিজের বীজ নিজে সংরক্ষণ করে চাষাবাদের পরামর্শ দেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজশাহীর পবার আলীমগঞ্জ ব্লকে সরিষা ফসলের ওপর মাঠ দিবস ও রিভিউ ডিসকাশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং-এর পরিচালক কৃষিবিদ মো. এ কে এম মনিরুল আলম এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (রাজশাহী) অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল হক।
তিনি আরো বলেন, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে এজন্য আমাদের ফলন বৃদ্ধি করতে হবে এবং মানসম্মত বীজ ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষক যাতে ফসল উৎপাদন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও লাভবান হয় সেজন্য নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্য ব্যাপক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং আগামীতেও করা হবে।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যতই মাটিতে জৈব পদার্থ বেশী থাকবে ততই মাটির উৎপাদন ক্ষমতা অধিক হবে। জৈব সার গ্রীষ্মকালে মাটিতে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শীতকালে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। এতে সব ঋতুতেই গাছের শিকড় সমানভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষাণ-কৃষাণীসহ প্রায় ৩শ’ জন উপস্থিত ছিলেন।