শনিবার , ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৫

কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জার্মানিকে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি। (ফাইল ফটো)

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জার্মানিকে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। কৃষিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ‘বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি ও বাণিজ্যের সুযোগ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও কার্যকরভাবে বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে মানসম্পন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন, এগ্রো-প্রসেসিং, কৃষিযান্ত্রিকীকরণ, ভ্যালু চেইন ও রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে জার্মানির বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ অনেক। বাংলাদেশে বর্তমানে মানসম্পন্ন আম, আনারস, লিচু, পেয়ারা, কলাসহ অন্যান্য ফলমূল এবং বিভিন্ন ধরণের তাজা শাকসবজি উৎপাদিত হচ্ছে। এসব পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জার্মানি কারিগরি সহায়তা, জনবল প্রশিক্ষণ, ল্যাব স্থাপন ও টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো, আধুনিক প্যাক হাউস এবং ফুড প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে পারে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে গ্যাপ (জিএপি) নীতিমালা অনুমোদন করেছে। এছাড়া, সর্বাধুনিক প্যাক হাউজ এবং অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ফলে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।

সম্মেলনে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান কনস্ট্যাঞ্জা জেহরিঙ্গার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের জেন্স ওডিং, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সেলর মো. সাইফুল ইসলাম, গ্রোবাল গ্যাপের (জিএপি) সিইও/প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান ম্যুলার, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের অনিরুদ্ধ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স, গ্লোবাল গ্যাপ, ইউএসএআইডি, বাপা, বাংলাদেশের তাজা ফল ও শাকসবজি রফতানিকারক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ এ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।

এ ভার্চুয়াল সম্মেলনে গ্লোবাল গ্যাপ ও ইউএসএআইডি বাংলাদেশ ৩টি পেপার উপস্থাপনা করে। গ্যাপ নীতিমালা মেনে কীভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা যায় তা তুলে ধরা হয়। এছাড়া, জার্মানিসহ অন্যান্য ইইউ দেশগুলিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কৃষিপণ্যের গুণগতমান বজায় রাখা ও স্বীকৃত সার্টিফিকেট গ্রহণের ওপরও গুরুত্ব প্রদান করা হয়।

This post has already been read 3360 times!

Check Also

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না- বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রবিবার (০২ …