কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী): কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।এরই ধারাবাহিতকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেই এই কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ধানের ট্রে-তে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ ও কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন পর্যন্ত সহায়তা দিবে কৃষি বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সিংড়া গ্রামের ৪৫ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা বোরো ধানের সমালয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ধানের ট্রে-তে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ ও কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন পর্যন্ত সহায়তা দিবে কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী দুর্গাপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মশিউর রহমানের সাথে আলাপকালে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দুর্গাপুরে প্রায় ৫ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে। সেজন্য বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা। তিনি আরোও জানান সমলয়ে চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২ হাজার ৪০০টি প্লাস্টিক ট্রে এবং বাকি চারা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পলিথিনের ম্যাট। এই ধরনের বীজতলা তৈরিতে ২ সেন্টিমিটার জৈব সার মিশ্রিত মাটি ভরাট করে কাঠ দিয়ে ভালভাবে সমতল করে মাটিতে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রেতে ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম অঙ্কুরিত বীজ বপন করে দশমিক ৫ সেন্টিমিটার মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা করতে স্বচ্ছ সাদা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢাকা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই কর্মসূচীতে সরকারিভাবে বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বহন করা হবে।
এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায় তারা মনে করে এই ধরনের সমবায়ের মডেল অনুসরণ করে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সকল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকের সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।