নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে গিয়ে অনেক কৃষিবিদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদেরকে সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধ ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও প্রনোদনা প্রদান এবং সামনের কঠিন দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের দাবী জানানো হয়।
আজ (২২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের কাছে এ দাবী জানান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বর্তমান করোনাকালীন সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কৃষিবিদ, সম্প্রসারণ কর্মী ও কৃষি সংশ্লিষ্টরা দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদার যোগান, কৃষির বিভিন্ন প্রযুক্তি কৃষকের দোর গোড়ায় পৌঁছানো এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য অত্যন্ত আত্নবিশ্বাসের সাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে কোভিড-১৯ এ ৮০০ জন কৃষিবিদ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করছেন ৫০ জন, এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩০ জন।
ব্রিফিংয়ে আরো বক্তারা বলেন, দেশের উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ আসে হাওর থেকে। হাওরে যখন ধান পাকতে শুরু করে তখনই করোনার আগমন ঘটে। সে সময় করোনার লকডাউনে ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে এক অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কৃষিমন্ত্রী, সর্বস্তরের কৃষিবিদগণ ও সকলের সহযোগিতায় দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে কৃষি শ্রমিক এনে এবং কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুত ধান কর্তন করে কৃষকের ঘরে তোলা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ ড. মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি কৃষিবিদ রেজওয়ানুল ইসলাম, সহসম্পাদক কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেন, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্রি অফিসাস এসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ আক্কাস আলী, প্রাণিসম্পদ এসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ ডা. আজিজসহ সর্বস্তরের কৃষিবিদবৃন্দ।