ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, বিশ্বের সকল দেশ সুন্দরবন সম্পর্কে জানে ও ভালোবাসে, তারা সুন্দরবন সুরক্ষায় সহায়তা করছে। সব সময় সুন্দরবন রক্ষায় চিন্তিত তারা। কিন্তু আমার দেশের মানুষ যারা যুগ যুগ ধরে এ বনের সুফল ভোগ করে আসছে, তারা সুন্দরবন রক্ষার কথা চিন্তা করছেন না, উল্টো ধ্বংস করে এবং বন উজাড় করছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপাই ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের মাঠ চত্বরে সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা প্রকল্প (এস এম পি-১১) এর অধিনে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বনজীবি পরিবারের মধ্যে জরুরি পণ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মইনুল হোসেন খাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডব্লু ই এস এর কান্টি রিপ্রেজেন্টটিভ ডা. জাহাঙ্গির আলম, জি আই জেড এর টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার (প্রযুক্তিবিদ উপদেষ্টা) পঞ্চানন কুমার ঢালী, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ও সি এম সির সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান। এ সময় পূর্ব সুন্দরবনের বনরক্ষী ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় যারা কাজ করে তার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. সবুজ হাওলাদার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রিপন, সিএমসি’র সাবেক সভাপতি জহিরুল গাজী, সাবেক ইউপি সদস্য আ. মালেক, চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান, ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।
জি আই জেড এবং সি এন আর এস এর সহায়তায় চাঁদপাই ও শরনখোলা রেঞ্জের ৭ হাজার বনজীবী পরিবারকে নগদ এক হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল, ৪ কেজি ডাল, দুই লিটার তেল, দুই কেজি লবণ, দুইটি সাবান, চারটি মাক্স ও ৪টি স্যানিটারী ন্যাপকিন প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ সকল সহায়তা ২৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেয়া হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া চাঁদপাই রেঞ্জের ৪০ জন বনরক্ষী (স্মাট টিমের সদস্য) সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যারা দায়িত্ব সহকারে সফলতার সাথে কাজ করেছে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী নিজ হাতে তাদের এ পুরস্কার সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়াও বনরক্ষীদের জন্য করোনা সুরক্ষায় বিভিন্ন সরঞ্জামাদি প্রদান করা হবে বলেও জানায় বন সংরক্ষক মইনুল হোসেন খাঁন।