বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ১৪ ২০২৪

প্রকাশনা শিল্পকে টিকে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে হবে -কৃষিমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের রাতারাতি বড়লোক হওয়ার সুযোগ নেই। এটি  একটি অত্যন্ত মহৎ, সৃজনশীল ও মেধা বিকাশের পেশা। মানবসভ্যতার বিকাশ  ও  উন্নয়নে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে পুস্তক শিল্পের আকার অনেক বড় হয়েছে; প্রিন্টিং শিল্পও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। কিন্ত তথ্যপ্রযুক্তির এ্ই যুগে  এ শিল্পের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমি মনে করি, মুদ্রিত বই পড়া ও কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনে বই পড়ার আনন্দ এক নয়। বই এর আকর্ষণ সবসময়ই থাকবে; তারপরও উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে মুদ্রিত  বই এর আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায় সেদিকে প্রকাশকদের দৃষ্টি দিতে হবে।চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রকাশনা শিল্পকে কীভাবে  টিকিয়ে রাখা যাবে,  সে উপায় প্রকাশকদের খুঁজে বের করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ বার্ষিক সভা ২০১৯-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি সাহায্য নির্ভর দেশ নয়। আগে বাজেটের  ১৫-২০ আসত বিদেশি সাহায্য থেকে, তা কমে এখন  ২ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্ব ব্যাংকসহ দাতা দেশ ও প্রতিষ্ঠান সাহায্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে, নিজেদেরকে এদেশের কিং (রাজা) মনে করতো। কিন্তু এখন তারা আর কিং নেই। এখন  এদেশের কিং হচ্ছে এদেশের সাধারণ জনগণ; তাদের হাতেই সকল ক্ষমতা। আর তাদের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশে অর্থনীতি, ভৌত অবকাঠামো, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। তিনি বলেন, সন্তানের শিক্ষায় বিনিয়োগই শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত সৃজনশীল বই পাঠে শিশুদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি এ সময় পুস্তক প্রকাশকদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই অধিক পরিমাণে প্রকাশের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো: আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সমিতির প্রথম সহসভাপতি কায়সার ই আলম প্রধান, সহসভাপতি শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সারাদেশ থেকে আগত সদস্যবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2202 times!

Check Also

অ্যামচেম এর সাথে বিডার সংলাপ

আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ আজ ( সোমবার ,২১ অক্টোবর) রাজধানীর অভিজাত এক হোটেলে …