নিজস্ব প্রতিবেদক: চাল আমদানির ফলে চালের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, এ বছর চাল, পেঁয়াজ ও আলু- এই তিনটির দাম বেশি ছিল। সরকার দাম কমানো ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। চালের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে চালের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে “বাংলাদেশ চাল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মশালায় বাংলাদেশ চাল, আলু ও পেঁয়াজের প্রাপ্যতা ও দামের অস্থিরতাঃ একটি আন্ত:প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা প্রতিবেদন-২০২০ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে ইউজিভির উপাচার্য ও স্টাডি টিমের কোঅরডিনেটর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, বিএআরসির সদস্য পরিচালক ড. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, লাগাতর বন্যার কারণে আঁউশ ও আমনে চালের উৎপাদন কম হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া ও সরকারি খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় মিলমালিক ও পাইকাররা সুযোগ নিয়েছে। বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি ভবিষ্যতে যাতে না হয় সেজন্য আগামী বোরো মৌসুমে ধান চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চাল কিনে সরকারি মজুত বাড়ানো হবে যাতে বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে।।
উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কোন পণ্যেরই বাজার স্থিতিশীল থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, চাল, আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন আরও বাড়াতে কার্যক্রম চলছে। চালের উৎপাদন বাড়াতে ব্রি-৮৭ ও বিনা -১৬ জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে ইউজিভির উপাচার্য ও স্টাডি টিমের কোঅরডিনেটর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, বিএআরসির সদস্য পরিচালক ড. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।