নিজস্ব প্রতিবেদক: “দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অনেক অবদান আছে। পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি করা, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি, গ্রামীন অর্থনীতিকে সচল রাখাসহ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাতের ভূমিকা রয়েছে। দেশের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। এ খাতে কর্মকর্তাদের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ অনেক বেশি।”
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ৩৮তম বিসিএস (মৎস্য) ও বিসিএস (লাইভস্টক) ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, “রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে যেকোন সংকট মোকাবেলা করতে হবে। গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।”
নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদন করতে হবে। সব সময় নিজের মধ্যে দেশাত্মবোধ ধারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে দেশ আমাদের আনেক কিছু দিয়েছে। এ রাষ্ট্রের কৃষক, শ্রমিক, মজুর ও মেহনতি মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা লেখাপড়া করেছেন। সে মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। এ মানুষদের জন্য, দেশের জন্য কাজ করা আপনাদের দায়িত্ব।”
এ সময় তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখতে জঙ্গীবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী চিন্তা-চেতনা, অনৈতিকতা ও অনিয়মের সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। দেশ স্বাধীন না হলে আপনারা কর্মকর্তা হতে পারতেন না। নিজের মধ্যে দেশপ্রেম রাখতে গেলে আসম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে ধারণ করতে হবে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, ত্রিশ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধারা দেখেছিলেন। এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সকলকে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ধারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকদার বিষবাষ্প যারা ছড়ায়, যারা অনিয়ম করে, যারা দুর্নীতিবাজ তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। পেশাগত জীবনের ভিত্তি স্থাপনে ইস্পাত কঠিন মানসিকতা ধারণ করতে হবে।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নবীন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লাইভস্টক ক্যাডারের ডা. মো. মামুনুর রহমান এবং মৎস্য ক্যাডারের কে এম মাহফুজুর রহমান ও শতাব্দী রায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য ৩৮তম বিসিএস এ মৎস্য ক্যাডারে ১৯ জন এবং লাইভস্টক ক্যাডারে ৮৩ জন কর্মকর্তা যোগদান করেন।