সাভার সংবাদদাতা: বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) “ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯” অর্জন করেছে। নির্ধারিত ৫টি ক্যাটাগরির মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় -এর আওতাধীন বিএলআরআই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরি শাখায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে। বিএলআরআই এর পক্ষ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন বিএলআরআই মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ঢাকায় নির্বাচিত শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে এক জমকালো ‘ট্রফি বিতরণ ও সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)।
শিল্প মন্ত্রণালয় এর বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও এনপিও শাখার উদ্যোগে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ও ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা, ২০২০’ অনুযায়ী বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিএলআরআই সহ ৩১টি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি। বিএলআরআই এর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এমপি এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব কে এম আলী আজম।
শিল্পমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকারের রূপকল্পগুলোকে সাফল্যের সাথে অর্জন করতে উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। রূপকল্প ২০৩১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে শিল্পায়নকে মূলভিত্তি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে শিল্পমন্ত্রী নিজ নিজ শিল্পকারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পকারখানার জন্যও মডেল হিসেবে পরিচিতি অর্জনের তাগিদ দেন। একই সঙ্গে সবুজ শিল্প ও উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়লে মালিক, শ্রমিক, ভোক্তা এমনকি সরকারও তার সুফল পেয়ে থাকে। দক্ষতার সঙ্গে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন মালিকপক্ষের আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি শ্রমিকদের প্রতি যত্নশীল ও গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, সরকারের সহযোগিতা ও ব্যবসায়ীদের চেষ্টায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের মতো ঘুরে দাঁড়াবে।
পুরস্কার অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার বলেন, এ পুরস্কার অর্জনের ফলে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। বিএলআরআই একটি জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এদেশের প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে খামারি ও উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছে। আগামীতে এই যাত্রা আরও দৃঢ়তর হবে।