Saturday , March 29 2025

দেশি গরুর নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস প্রচলিত দামেই পৌছে দিচ্ছে নাহিনূর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সময়ের সাথে বদলে যাচ্ছে চারপাশ। করোনা পরবর্তী দুনিয়ায় মানুষ আরো ব্যস্ত, কারণ মানুষ জেনে গেছে চাইলে অনেক কিছু ঘরে বসেই করা যায়।

বাংলাদেশ তার অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তাদের সাহস, ইচ্ছে আর প্রযুক্তির ব্যবহার এর উন্নয়ন এর কারণে। বিগত সময়ে এই দেশের কৃষিতে ব্যপক পরিবর্তন এসেছে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ এখন সরাসরি কৃষির সাথে জড়িত। ফলে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারেও বেড়েছে সচেতনতা। মানুষ এখন আর শুধু পেটপুড়ে খেয়েই তুষ্ট নয়, বরং সেই খাদ্য তার স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী সে ব্যাপারেও সজাগ। অন্যদিকে প্রাণীজ পুস্টির অন্যতম উৎস গো মাংসের ব্যাপারে মাঝেমধ্যেই শোনা যায় নানান নেতিবাচক প্রচারণা। এসব নেতিবাচক প্রচারনাকে আমলে নিয়ে মানুষকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত দেশি গরুর মাংস খাওয়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছে উদ্যোমী শিক্ষিত যুবক নাহিনূর রহমান।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজীতে অনার্স/মাস্টার্স করা এই যুবক উদ্যোক্তা শুধু নিরাপদ মাংসের ব্যাপারেই সচেতন নন, বরং তিনি চেষ্টা করছেন বাজারে প্রচলিত মাংসের দামেই সুস্থ ও নীরোগ গরুর মাংস ভোক্তাদের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে। তিনি এখন প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে একটি করে গরু জবাই দেন এবং সেটি ভোক্তাদের অগ্রিম চাহিদা ও ফরমায়েশ মাফিক। গরু জবাইয়ের আগে সেটি সুস্থ, নীরোগ, কোয়ারাইন্টাইন করানো, ভ্যাক্সিনেটেড ও ডাক্তার এর মাধ্যমে নিয়মিত পরীক্ষা করানো হয়।

এ ব্যাপারে নাহিনূর রহমান বলেন,  কৃষক ও কৃষির সাথে আমার পথ চলা প্রায় ১০ বছর ধরে। চোখের সামনে দেখেছি, দেশের কৃষি ও পরিবর্তনের গল্পগুলো। নিরাপদ খাবার ও গতানুগতিক ধারার বাইরে যেয়ে কিছু করার ভাবনা থেকে কৃষি ও পশু পালনে আমার বিচরণ। কোয়ালিটির ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।

নাহিনূর জানান, বিগত ৮ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহেই একটি করে দেশি গরু জবাই করি। শতভাগ প্রাকৃতিক খাবার ও কোন প্রকার হরমোন বা স্টেরয়েড না দেয়ার ফলে আমাদের এই গরুর মাংসে না থাকে অতিরিক্ত চর্বি, না থাকে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সঠিকভাবে প্রত্যাহার কাল মেনে কৃমি মুক্ত করা ও যথেষ্ট এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার কারণে আমাদের গরুতে কোন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকেনা। আমাদের মাংস যারাই একবার কিনেছেন ও খেয়েছেন তারা পরবর্তীতে আর কোনভাবেই বাজারেই প্রচলিত কসাই খানার মাংস কেনেন না। কারণ, আমরা দু’ দাতের দেশি ও প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড় বাঁছাই করি। আবারো বলছি, গরু মানে ষাঁড় গরু, গাভী বা বকনকে মাংসের জন্য বাঁছাই করিনা। আমাদের মাংসের কোয়ালিটির জন্য আমরা সচেতন কারণ এই মাংস আমাদের পরিবারের সবাই খায়। নিরাপদ খাবারের চাহিদা মেটাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

অনেকেই ভাবছেন, এত এত গুণ যেই মাংস তার দাম না জানি কত?? দাম আপনার বাজারে প্রচলিত দামের মতোই, মাত্র ৬০০ টাকা কেজি।

হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে, ১০ কেজি বা তার বেশি নিলে নেয়া হয় না কোন ডেলিভারি চার্জ। তবে এর চেয়ে কম হলে তা যে পরিমাণই হোক নেয়া হয় মাত্র ৫০ টাকা। তবে এ মাংস পেতে গেলে আপনাকে বুধবারের আগেই অর্ডারের পরিমাণ জানাতে হবে।

অর্ডার করতে ০১৭১১৯৯১৩৮৪ নাম্বারে কল করুন অথবা মেসেজ দিন।

This post has already been read 4508 times!

Check Also

আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণে DLS e-Trade Portal চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (DLS)  চালু …