রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

টানা দুই মাস অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রতীকি ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য ০১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকা হচ্ছে চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা, ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা, শরীয়তপুর জেলার  নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা  এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা এবং বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা। প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস উল্লিখিত অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এসময় ইলিশের অভয়াশ্রমসমূহে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অম্যান্যকারী কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট ৬টি জেলার জাটকা আহরণে বিরত থাকা ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৭৮জন জেলেদের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ মেট্টিক টন ভিজিএফ চাল ইতোমধ্যে বরাদ্দ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

This post has already been read 3401 times!

Check Also

হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, হাওরে ইজারা …