শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

পাকিস্তানের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণহত্যার স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর – কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের পরাজিতশক্তি পাকিস্তানের  এ দেশিয় দোসর ও তাঁবেদাররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নারকীয়  গণহত্যার স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।  তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে ও অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে- তারা বাংলাদেশের চেতনাকে নষ্ট করতে চায়, বাংলাদেশকে হত্যা করতে চায়। যারা পাকিস্তানের উচ্ছিষ্টভোগী, দোসর ও তাঁবেদার- যারা পাকিস্তানের ধারায় ধর্মকে ব্যবহার করে দেশকে ও দেশের মানুষকে শোষণ করতে চায় তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস ও  স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায়। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আজ সোমবার (৮ মার্চ) টাঙ্গাইলে বধ্যভূমি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র টাঙ্গাইল’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

স্মৃতিকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করে মন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, আমাদের সন্তানেরা-আগামী প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মের যারা বড় হচ্ছে- যাদের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম, জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম- তাদেরকে এই স্মৃতিকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। এ রকম স্মৃতিকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরজাগরূক রাখবে। পাকিস্তানি ও তাদের এ দেশিয় দোসরদের সংগঠিত নির্যাতন ও গণহত্যাকে বিস্মৃতির হাত থেকে রক্ষা করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক  ও বাহক। সাত কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালিকে  সংগঠিত করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান কতটুকু- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। আজ ইতিহাসের  সত্য উৎঘাটন হয়েছে যে, জিয়াউর রহমানের অবস্থান স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের এক ক্ষুদ্র জায়গায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক। সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি। এসময়  টাঙ্গাইলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির,  আতাউর রহমান খান, মো: হাছান ইমাম খাঁন, মো: ছানোয়ার হোসেন ও আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকালে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত ফজলুর রহমান খান ফারুক এর একুশে পদকপ্রাপ্তিতে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক এ বছর একুশে পদক পান। এ উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলার সম্মিলিত নাগরিক সমাজ তাঁকে গণসংবর্ধনা প্রদান করে।

This post has already been read 3610 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …