সাভার (ঢাকা) : “বঙ্গবন্ধু বলেছেন ‘খাদ্য বলতে শুধু ধান, চাল, আটা, ময়দা আর ভুট্টাকে বোঝায় না; বরং মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি এসবকে বোঝায়।’ দেশ আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। মননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, লাভ করেছে উন্নয়নশীল দেশের খেতাব। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এবং উন্নত দেশ হয়ে উঠতে হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিক করতে হবে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এবং তাঁর দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।”
আজ বুধবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালনের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল একথা বলেন।
এ সময় মহাপরিচালক আরো বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমৃদ্ধ কৃষির যে কোন বিকল্প নেই এটা বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। একটি দেশের কৃষির উন্নয়নে প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার বিকল্প যে আর কিছু হতে পারে না, তা বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন। এই বিজ্ঞানমনস্কতা থেকেই তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটসহ একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে যান। কৃষিবিদদের সামাজিক স্বীকৃতি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদান করেন।
দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বিএলআরআই এর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ৬.০০ ঘটিকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএলআরআই এর মাননীয় মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল। এসময় মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএলআরআই এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ বিএলআরআই এর প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও বাদ জোহর বিএলআরআই মসজিদে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিএলআরআই এর প্রধান ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে আলোক সজ্জা এবং শিশু ও কিশোরদের জন্য বাসায় থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও রচনা লেখা প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণের আয়োজন। উল্লেখ্য দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিএলআরআই জাতির পিতার জন্মদিন ও শিশু দিবসের কর্মসূচি পালন করে।