নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির’ সভায় নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ৬৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ও এমওপি ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সারের চাহিদা ছিল ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৫ লাখ, ডিএপি ১৫ লাখ টন ও এমওপি ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) অনলাইন প্লাটফর্মে এ সভার আয়োজন করা হয়।কমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী এমপি, সংসদ সদস্য মো: আব্দুল হাই, সংসদ সদস্য মো: জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো: মাহবুবুল ইসলামসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সারের জন্য কৃষককে কোন রকম কষ্ট করতে হয় না । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকবান্ধব ও কৃষকদরদী। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে সার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্টা করেছে। সরকার একদিকে যেমন সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে তেমনি চার দফায় সারের দামও অনেক কমিয়ে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে, কৃষি উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ- এই সারের জন্য কৃষককে এখন কোনরকম কষ্ট করতে হয় না। অথচ এই সার ব্যবস্থাপনায় বিএনপি ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে দুবারই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। তখন সারের জন্য কৃষককে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছিল, সারের দাবীতে কৃষককে আন্দোলন করতে হয়েছিল; প্রাণ দিতে হয়েছিল।