মো.জুলফিকার আলী (পাবনা) : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২০-২১ অর্থ বছরের খরিপ-১/২০২০-২১ মৌসুমে আউশ প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃণাণীদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ৮ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ এর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ মো.গোলাম মোস্তফা, কুষ্টিয়া জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো.তানভীর আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও সংশ্লিষ্ট উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আউশ ধান উৎপাদনে সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না, খরচ কম লাগে। মিরপুর উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের খরিপ-১/২০২০-২১ মৌসুমে আউশ প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২০৪০ জন কৃষক-কৃণাণীদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ হবে। প্রতিজন কৃষক ধানের বীজ-০৫ কেজি, ডিএপি সার ২০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি হারে বিতরণ করা হচ্ছে, তাই প্রাপ্ত বীজ ও সার সময়মত জমিতে ব্যবহার করে আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য চাষীদের অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় না হয় সে লক্ষে বর্তমান সরকার বিভিন্নভাবে কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে বিনামূল্যে কৃষিতে প্রণোদনা দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আউশ প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সল্প খরচে আউশ ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি করলে দেশের শাকরা জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং খাদ্যের ঘাটতিও পূরণ হবে। প্রণোদনাভূক্ত উপস্থিত কৃষক/কৃষাণীদের আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উপস্থিতে কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিনামূল্যে জনপ্রতি আউশ ধানের বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ২০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি হারে কয়েকজন কৃষকের বিতরণ করা।