ড. মো. শাহজাহান কবির: আবহমান কাল থেকে কৃষি নানা অভিঘাত মোকাবেলা করে এগুচ্ছে। এসব অভিঘাত আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে বারবার সংকটে ফেলেছে। মাত্র ক’বছর আগেও বন্যা, খরা ছিল আমাদের কৃষির জন্য বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততার কারণে ধান চাষ করাই যেত না। কিন্তু বন্যা,খরা,লবণাক্ততা ও ঠান্ডাকে জয় করে এসব অভিঘাত সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের কৃষিকে অনুকরণীয় স্থানে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছেন। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় আর ধানের ফলন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে। কিন্তু দেশের কৃষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে উচ্চ তাপমাত্রা বা ‘হিট শক’।
গত ৪ এপ্রিল হাওড়াঞ্চলে প্রবাহিত গরম হাওয়া (লু হাওয়া) বা ‘হিট শক’ কিছুটা নতুন ধরনের অভিঘাত। দীর্ঘদিনের বৃষ্টিহীন উচ্চ তাপপ্রবাহ (heat wave) এই হিটশকের কারণ। এ হিটশকে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা এবং গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু অঞ্চলে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবছর এ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ৪৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আবাদের পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে হিসাবে ১০ থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। কোনো কোনো জমি ৮০ ভাগ, কোনো জমি ৫-১০ ভাগ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার আশে-পাশে অনেক জমি ভালোও রয়েছে। যেসব জমির ধান ফুল-ফোটা পর্যায়ে ছিল না, সেগুলো খুবই ভালো রয়েছে, যেখানে ফুল-ফোটা পর্যায়ে ছিল সেটাতে অধিকাংশ (প্রায় ৭০-৮০%) ক্ষতি হয়েছে। করোনাকালে জনস্বাস্থ্য সংকটের মাঝেই নতুন এই সংকটকে “মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ” হিসেবে অবহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত আমনে বন্যায় ধানের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে বোরোর উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে মোতাবেক বোরোর কোন চাষযোগ্য জমি যাতে খালি না থাকে সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। বোরোর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মাঠ থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সব কর্মকর্তাকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, “যে করেই হোক চলতি বোরোর যে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা অর্জন করতে হবে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষকের পাশে থাকতে হবে। আমরা কৃষকদের যে বোরো ধানের উন্নত বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় যে প্রণোদনা দিচ্ছি তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।”
নির্দেশনা মোতাবেক চলতি বোরো মওসুমে ধানের আবাদ আগের বছরের চেয়ে ৫০ হাজার হেক্টর বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কিন্তু বাস্তবে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হাইব্রিড চাষও বাড়ানো হয় প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর।
ধানের বৃদ্ধি পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব : ধান গাছ বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাব বিস্তার করে। অঙ্গজ বৃদ্ধি পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রার (>৩৭-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) প্রভাবে ধানের পাতার অগ্রভাগ সাদা হয়ে যাওয়া, পাতায় ক্লোরোটিক ও সাদাটে ব্যান্ড বা ব্লচ দেখা যাওয়া এবং গোছায় কুশির সংখ্যা কম হওয়া ও গাছের উচ্চতা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। অঙ্গজ বৃদ্ধি পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে ফলনে তেমন ক্ষতিকর প্রভাব না ফেললেও প্রজনন পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রার (>৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) প্রভাবে ধানের ফলনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ধানের প্রজনন পর্যায়ে শীষ বের হওয়ার ৯ দিন পূর্বে ৩৫-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং ফুল-ফোটা ও পরাগায়নের সময় ১-২ ঘন্টা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও বেশী তাপমাত্রার প্রভাবে সাদা শীষ, সাদা স্পাইকলেট, শীষে স্পাইকলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং চিটা সমস্যা ধানের ফলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ধানের পরিপক্ক পর্যায়ে উচ্চ তাপমাত্রা (>৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দানা গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে বিধায় অর্ধপুষ্ট দানার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় যা ধানের ফলন ও গুণগত মানের উপর প্রভাব ফেলে। ধানের ফুল-ফোটা ও পরাগায়নের সময় ধানের যে শীষগুলোতে ফুল ফুটতে থাকে তা খুবই এ্যাকটিভ অবস্থায় থাকে। এ অবস্থায় ধানের শীষকে উত্তপ্ত হাওয়ার ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য গাছ প্রচুর পরিমাণে পানি প্রস্বেদন (Transpiration) প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়। এই প্রস্বেদন অনেকটা গাছের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার কুলিং সিস্টেমের ন্যায় কাজ করে।
ব্রির গবেষণায় দেখা গেছে, ধানের বিভিন্ন জাতে শীষ ও ডিগ পাতার তাপমাত্রা বাতাসের তাপমাত্রার চেয়ে ৪-৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস কম রাখতে হয় বিধায় প্রচুর পরিমানে পানি প্রস্বেদনে প্রক্রিয়ায় বের করে দিতে হয়। ধানের শারীরবৃত্তীয় এ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে গিয়ে বৃষ্টিহীন তীব্র তাপদাহের সময় ধানের শীষ ও ডিগ পাতা হতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় অতি অল্প সময়ে অনেক পানি বের হয়ে যাওয়ার কারণে শীষ ও ডিগ পাতা দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে। শুকিয়ে যাওয়া সাদা শীষ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ধানের সব কুশির শীষ একসাথে বের হয় না বা শীষের সকল ফুল একসাথে ফুটে না বিধায় শতভাগ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার যে সকল ক্ষেত্রে ধানের দানা গঠন প্রক্রিয়া চলছে সে সকল জাতে ডিগপাতা শুকিয়ে গেলেও দানা গঠন চলতেই থাকবে ফলে ক্ষতি খুব সামান্য হবে।
গত বছর বোরো মওসুমে ধানের ফুল-ফোটা পর্যায়ে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা সহনীয় পর্যায়ে ছিলো ফলে বোরো ধানের চিটা সমস্যা ততটা প্রকটভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বোরো মওসুমে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তাপমাত্রা দিন, দিন বেড়েই চলছিলো। সঙ্গত কারণে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুবই কমে যাচ্ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে, গত ৪ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিহীন কাল-বৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ায় তীব্র তাপদাহ (যবধঃ ধিাব) হয়। তবে ঢাকা-গাজীপুরসহ বেশ কিছু স্থানে এ ঝড়ের সাথে বৃষ্টি থাকায় এ সকল স্থানে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। কিন্তু অন্যান্য স্থানে এ তাপদাহ প্রায় ২-৩ ঘন্টা ধরে চলতে থাকে। বৃষ্টিহীন তীব্র তাপদাহে বাতাসের তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। ফলশ্রুতিতে, যে সব ফুল ফোটা পর্যায়ে ছিল সেগুলোর পরাগরেণু শুকিয়ে ধান চিটা হয়ে যায়।
উচ্চ তাপমাত্রা প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনে ব্রির গবেষণা অগ্রগতি : বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৩ সাল থেকে উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের গবেষণা শুরু করে। ব্রি উচ্চ তাপমাত্রা সহিষ্ণু এন২২ (N22) জাতের সাথে বোরো মওসুমের জনপ্রিয় আধুনিক জাত ব্রি ধান২৮ এর সঙ্করায়ণ করে মার্কার এসিসটেড ব্যাকক্রসিং পদ্ধতির মাধ্যমে একটি অগ্রগামি সারি নির্বাচন করেছে যা মধ্যম মাত্রার উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল। এ সারিটি বর্তমানে আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলে এটিকে জাত হিসেবে অনুমোদনের জন্য জাতীয় বীজ বোর্ডে আবেদন করা হবে। জাত হিসেবে অনুমোদিত হলে ফুল ফোটা পর্যায়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি হলেও এ সারিটি আশানুরূপ ফলন দিতে পারবে। ব্রি ধান২৮ ও ব্রি ধান২৯ এর ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও ১৬টি উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল সারি জেনারেশন অগ্রগামী করা হচ্ছে।
এছাড়া ব্রি ধান২৮ ও ব্রি ধান২৯ এর ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও ৭২টি উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল সারি BC3F7 জেনারেশনে আছে। ব্রি ধান৪৮ ও ব্রি ধান৫৮ এর ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল সারি BC2F1 জেনারেশনে আছে এবং ব্রি ধান৬২ এর ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল সারি BC1F1 জেনারেশনে আছে।
‘হিট শক’ বা উচ্চ তাপমাত্রা থেকে ধান রক্ষায় করণীয়
- তীব্র তাপদাহের ‘হিট শক’ এর ক্ষতি থেকে ধানকে রক্ষার একমাত্র উপায় হচ্ছে ধানের জীবনকালের উপর ভিত্তি করে বপন ও রোপন সময় এমনভাবে সমন্বয় করা যাতে ধানের ফুল-ফোটার সময় কাল-বৈশাখীর এমন তীব্র তাপদাহ এড়িয়ে যাওয়া যায়।
- এসময় বোরো ধানের যে সকল জাত ফুল ফোটা পর্যায়ে আছে বা এখন ফুল ফুটছে বা সামনে ফুল ফুটবে সে সকল জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে এবং ধানের শীষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ২-৩ ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে।
- ঝড়ের কারণে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতাপোড়া (বিএলবি) বা ব্যাকটেরিয়াজনিত লালচে রেখা (বিএলএস) রোগের আক্রমণ হতে পারে । আক্রান্ত যে সকল জমিতে ধান ফুল আসা পর্যায়ে রয়েছে সে সকল জমিতে ৬০ গ্রাম এমওপি, ৬০ গ্রাম থিওভিট ও ২০ গ্রাম দস্তা সার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে বিকালে স্প্রে করতে হবে। তবে ধান থোড় অবস্থায় থাকলে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
- বোরো ধানের এ পর্যায়ে নেক ব্লাস্ট বা শীষ ব্লাস্ট রোগের ব্যাপক আক্রমণ হতে পারে। শীষ ব্লাস্ট রোগ হওয়ার পরে দমন করার সুযোগ থাকে না। তাই ধানের জমিতে রোগ হোক বা না হোক, থোড় ফেটে শীষ বের হওয়ার সাথে সাথেই একবার এবং এর ৫-৭ দিন পর আরেকবার বিঘাপ্রতি (৩৩ শতাংশ) ৫৪ গ্রাম ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি/ দিফা ৭৫ ডব্লিউপি/ জিল ৭৫ ডব্লিউপি অথবা ৩৩ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউজি, অথবা ট্রাইসাইক্লাজল/স্ট্রবিন গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ৬৭ লিটার পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।
- এসময় জমিতে বাদামি গাছফড়িং এর আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণপ্রবণ এলাকায় কীটনাশক যেমন মিপসিন ৭৫ ডব্লিউপি, প্লিনাম ৫০ ডব্লিউজি, একাতারা ২৫ ডব্লিউডি, এডমায়ার ২০এসএল, সানমেক্টিন ১.৮ ইসি, এসাটাফ ৭৫এসপি, প্লাটিনাম ২০ এসপি অথবা অনুমোদিত কীটনাশকের বোতলে বা প্যাকেটে উল্লিখিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। কীটনাশক অবশ্যই গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে । এক্ষেত্রে ডাবল নজেল বিশিষ্ট স্প্রেয়ার ব্যবহার করা উত্তম।
সংকট নিরসনে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ : হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন এবং উদ্ভূত সংকট নিরসনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহুল ইসলাম এর নেতৃত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত ৭ এপ্রিল ও নেত্রকোনা, মদন, খালিয়াজুড়ি, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের নিকলী, করিমগঞ্জ, সদরসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গত ১২ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় সম্প্রতি তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায় শুরুতে যে ক্ষতির ধারণা করা হয়েছিলো ক্ষতির পরিমাণ তারচেয়ে অনেক কম হবে। যেমন- যেসব জমি ধরা হয়েছিলো শতভাগ ক্ষতি হবে এখন দেখা যাচ্ছে ৩০-৪০ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ যাই হোক না কেন নিশ্চয়ই সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিভাবে সহায়তা করা যায় সে ব্যাপারে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
লেখক: মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।