সমীরন বিশ্বাস: বিশ্বব্যাপি কার্বন নি:সরন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে উন্নত দেশগুলোকে আরো অধিকতর মনোযোগী হতে হবে।পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা দৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নি:সরন কমাতে অবিলম্বে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহন কার জরুরী।
মার্কিন প্রেসিডেন্টর আয়োজনে শুরু হওয়া দুদিন ব্যাপি জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলন ৪০ জন বিশ্ব নেতা এতে অংশ নিয়েছেন। খবর: বাসসের। জলবায়ু পরিবর্তন সমাধনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব।
ইতি মধ্যে ”ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম” সিভিএফ এবং ভি২০ (ভালনারেবল টুয়েন্টি) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। জলবায়ূ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত রাখাই প্রধান লক্ষ্য এই ফোরামের। এছাড়া গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস বাংলাদেশে যে কারণে স্থানীয়ভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সংঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়টি প্রধান্য পাচ্ছে।
কার্বন নি:সরন কমাতে সুপারিশমালা:
১. অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ ভালসাম্য বজায় রাখতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকিপূর্ণ সম্প্রদায় গুরোর ক্ষয়-ক্ষতি পৃরনে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া।
২. বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থায়নে বিশেষ ভাবে ছাড় দেয়া।
৩. গ্রীন অর্থনীতি ও কর্বন প্রশমন প্রযুক্তিগুলোর ওপর দৃষ্টি দেয়া এবং প্রযুক্তি বিনিময় করা।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আশা একটি বড় ইতিবাচক দিক এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে সফলতার আশা জাগায়। ইতি মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দূর্যোগ মোকাবেলায় টেকসই জলবায়ু সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষপ গ্রহন করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন সহনীয় টেকসই পদক্ষপ গ্রহনে বাংলাদেশ, কৃষি, জ্বালানী, শিল্প, ও পরিবহন খাতের পাশাপাশি নতুন খাত অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ কার্বন নি:সরনে পদক্ষেপ নিয়েছে। ”মুজিববর্ষ” উপলক্ষে দেশব্যাপি ৩০ মিলিয়ন গাছের চারা রোপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে যার ফলে; কম-কর্বনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফলতা আসবে।
লেখক : সমন্বয়কারী, সিসিডিবি, ঢাকা।