রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪

আউশ প্রণোদনার আওতায় রাজশাহীর ৪৩ হাজার কৃষক

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : রুক্ষ আবহওয়ায় এ বছর আউশ উৎপাদন নিয়ে অনেক কৃষক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু গতবছরের চেয়ে এ বছর আউশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেশি ধরা হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে আউশ উৎপাদনে জমি তৈরি ও লাগানোতে চাষিদের কর্ম ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। আর লক্ষমাত্রা পূরণে সার, বীজ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এ অঞ্চলে ৪৩ হাজার ২০০ কৃষককে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজশাহী অঞ্চলে গত বছর ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছিলো। এবছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৮৪ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন। সুবিধাভোগী এসব কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হচ্ছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার ইশ্রীপুর এলাকার কৃষক আহাদ আলী বলেন, তিনি সরকারি সহায়তার সার বীজ পেয়েছেন। এবার প্রচুর রোদ-গরম নিয়ে আউশের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। বোরো আবাদে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ খরচ বেশি লেগেছে। আউশে সরকারি সহায়তা পাওয়ায় তিনি খুশি।

কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, তিনিও সরকারি এই সহায়তা পেয়েছেন। তিনি প্রায় দেড় বিঘা মতো জমিতে এবার আউশের আবাদ করবেন। এরই মধ্যে তার বীজতলা তৈরি হয়েছে।

গোদাগাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গোদাগাড়ি উপজেলায় ২ হাজার ৮৫০ জন কৃষককে সরকারি এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এই উপজেলায় এখন কৃষক জমি ও বীজতলা তৈরিতে কাজ করছেন। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক  কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে এবার গত বছরের চেয়ে কিছুটা বেশিই আউশের আবাদ লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বরেন্দ্র অঞ্চলে এবার খরা-সহিষ্ণু ব্রি-ধান ৪৮ উন্নত জাতের বীজসহ সার সহায়তা দেয়া হয়েছে। আউশ উৎপাদনে কৃষকদের প্রণোদনার অংশ হিসেবে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। উন্নত এ জাতের ধান আবাদে উৎপাদনও বেশি হবে।

This post has already been read 2651 times!

Check Also

 বরিশালের বাবুগঞ্জে বিনা ধান১৭’র মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে বিনা ধান২৩’র মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ জেলার বাবুগঞ্জ …