রবিবার , জানুয়ারি ১৯ ২০২৫

লকডাউনেও কৃষি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিস খোলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান লকডাউনেও খোলা রয়েছে জরুরি পরিষেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের অফিস। কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে ও মাঠ পর্যায়ের বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে।

লকডাউনের শুরু থেকেই বোরো ধান কর্তনের জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্র বিতরণ ও আন্ত:জেলা শ্রমিক পরিবহণে সহযোগিতা দেয়াসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য খোলা রয়েছে অফিসগুলো। তাছাড়া, আউশের প্রণোদনা; সার,বীজ,কীটনাশক প্রভৃতি উপকরণ বিতরণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলমান আছে।

মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে জরুরি কার্যক্রম চলমান আছে। মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের অফিসের সাথে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ ও ধান কাটাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিববৃন্দের নেতৃত্বে প্রতিদিন একটি করে টিম সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি, রোস্টারভিত্তিতে উপসচিবদের নেতৃত্বে একটি ‘মনিটরিং সেল’ সচিবালয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

এছাড়া, কৃষিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব নিয়মিতভাবে সংস্থাপ্রধানসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে জরুরি সভা করছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। অগ্রাধিকার প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের কাজ ও ই-নথির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও চলমান আছে। দপ্তরগুলোর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এর মাঠ পর্যায়ের জেলা-উপজেলা অফিসগুলো খোলা রয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ নিয়মিতভাবে অফিস করছেন। তিনি ও অধিদপ্তরের অন্যানা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে জরুরি প্রয়োজনে অফিস করার পাশাপাশি সরেজমিনে মাঠের কার্যক্রম পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও হাওরে বোরো ধানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বিতরণ ও ধান কাটায় উৎসাহ দিতে ইতোমধ্যে তাঁরা হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওরে ছুটে গিয়েছেন। এছাড়া, গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে দ্রুত ‘উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল’ ধানের জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

লকডাউনে এসব উদ্যোগের ফলে মাঠ পর্যায়ে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপারের সর্বোচ্চ ব্যবহার, কৃষি উপকরণের সরবরাহ, হাওরে বোরো ধান কর্তন ও শ্রমিকের নির্বিঘ্ন যাতায়াত সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

This post has already been read 3753 times!

Check Also

জনগণের সেবার প্রতি সদা জাগ্রত থাকতে হবে -সিনিয়র সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ.এস.এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, জনগণের সেবার প্রতি সদা জাগ্রত …