সোমবার , নভেম্বর ১৮ ২০২৪

প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংকটে দেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভোক্তা পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। এটি বিবেচনায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দপ্তরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

করোনা পরিস্থিতিতেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি (লাইভ), গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরণের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহণ ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

করোনায় চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণনজনিত  উদ্ভুত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আরেকটি কন্ট্রোল রুম কাজ করেছে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গতকাল (সোমবার) ২ মে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০ টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮০১ টি ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মে. টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকী ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।

This post has already been read 2712 times!

Check Also

মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

সাভার সংবাদদাতা: মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় …