সোমবার , নভেম্বর ১৮ ২০২৪

৩ বছরের মধ্যে পেঁয়াজ ও পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৩ বছরের মধ্যে পেঁয়াজ ও পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বাংলাদেশে এবং সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে সরকার। মঙ্গলবার (১১ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে  ‘বোরো ধানের উৎপাদন  পরিস্থিতি’ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এ বছর ভারত হতে ৩৫ মে.টন পেঁয়াজ বীজ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, বলে এ সময় জানান কৃষিমন্ত্রী। এছাড়াও দেশে পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩০ লাখ মে.টন। এই জন্য সংগ্রহোত্তর ঘাটতি বিবেচনায় উৎপাদন প্রয়োজন ৩৫ লাখ মে.টনেরও বেশি। প্রতিবছর ৬-১০ লাখ টন ঘাটতি পেঁয়াজ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে মিটানো হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে বারি পেঁয়াজ-৫ নামে একটি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছে। আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করার জন্য এবং ৩ বছরের উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করা যায় রোডম্যাপটি বাস্তবায়ন হলে আমরা পেঁয়াজ বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হব।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মোট ৭ লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়ে থাকে তার মধ্যে বেশিরভাগই তোষা পাট চাষ হয়ে থাকে। প্রতিবছর তোষা পাট চাষের জন্য বীজের প্রয়োজন হয় ৫ হাজার মে.টন বিএডিসি উৎপন্ন করে ৫শ’ মে.টন অবশিষ্ট পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। তোষা পাট বীজ উৎপাদনের জন্য ২টি ফসল মৌসুমের প্রয়োজন হয় ফলে কৃষকরা পাটবীজ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়। ইতোমধ্যে মাননীয় মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৩টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আগামী ৩ বছরে পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হবে।

This post has already been read 4186 times!

Check Also

জলঢাকায় সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় মাঠের যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজের সমারোহ। …