এগ্রিনিউজ২৪.কম: কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণে গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)-কে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ এ ভূষিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) গণভবনে আয়োজিত স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৌরবময় ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএআরসি এবং নয় জন বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ এ ভূষিত করেন। বিএআরসি’র পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার । অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃক সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
কোভিড মহামারির কারনে সীমিত পরিসরে এই অনুষ্ঠান আয়োজন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অবদান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, মুজিব জন্মশতবর্ষ পালন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এ ধরনের পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির উন্নয়নে কাজ করতে আরো উৎসাহিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ১৯৭৩ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক আদেশবলে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমভুক্ত ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সহযোগী সংস্থাসমূহকে কৃষি গবেষণা পরিকল্পণা প্রণয়ন, অগ্রাধিকার নির্ধারণ, কর্মসূচি সমন্বয়, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন, মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং কৃষি গবেষণার মানোন্নয়নে জাতীয় নীতিমালার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে আসছে। বিএআরসি গত ১০ বছরে নোটিফাইড ৭টি ফসলের (ধান, গম, আলু, ইক্ষু, পাট, কেনাফ ও মেস্তা) ফলন ও মান নিশ্চিতপূর্বক বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত ১৭০টিরও বেশী জাত ছাড় করেছে। দক্ষ কৃষি বিজ্ঞানী তৈরীর লক্ষ্যে ফেলোশিপের জন্য আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা প্রদান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫১,৮৮৬ জন বিজ্ঞানী/কর্মকর্তাকে স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
বিএআরসি ১৯৭৯ সাল থেকে সার সুপারিশমালা “হাতবই” প্রণয়ন করে আসছে যা সার ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ রোডম্যাপ ২০২১, ২০৩১ ও ২০৪১ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমভুক্ত ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন নিয়ে ‘১০০ কৃষি প্রযুক্তি এটলাস” প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা তথা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।