শেকৃবি: কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তরে চাকরি, পদোন্নতি, বদলি সহ সকল ক্ষেত্রে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের হয়রানি ও বঞ্চনার অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল ২৪ মে সোমবার রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নবম সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, একজন কৃষিবিদ কৃষিমন্ত্রী হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত হয়েছিলাম। তবে তিনি তার আশেপাশে কয়েকজন নীতিহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নানান সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যেখানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে বিএনপি, জামাত-শিবিরকে পদোন্নতি ও নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সবগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের সকল ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ একটি নিয়োগেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরকম কট্টর বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বঞ্চনা বিমাতা সুলভ ও নিন্দনীয়।
বৈঠকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করেছে তারা নানাভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আজ এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা। আমরা ধাপে ধাপে আন্দোলন করবো। এসময় তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে দশ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করেন যারা আগামীর কর্মসূচীর রূপরেখা তৈরি করবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, আমার ছাত্ররা কষ্টে আছে এটা আমার জন্যও কষ্টের। আমাদের সকল প্রমাণ সহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে হবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করবো। আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্মারকলিপি তৈরি করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেওয়া হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সেলিম, যুগ্ম মহাসচিব ড. জিএম ফারুক ডন, কোষাধ্যক্ষ এম আমিনুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কৃষি ক্যাডার সার্ভিস এসোসিয়েশন এর মহাসচিব কাজী আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা এটিআই’র সাবেক অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্না, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও বিএডিসির উপ-পরিচালক একেএম ইউসুফ হারুন, ক্রীড়া সম্পাদক হোসেন আল ফারুক ডিউন, নির্বাহী সদস্য ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এর মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান রিন্টু, নির্বাহী সদস্য ও কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, নির্বাহী সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন-অর রশীদ, নির্বাহী সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মশিউর রহমান হুমায়ুন প্রমুখ