সোমবার , নভেম্বর ১৮ ২০২৪

কোরবানির পশু প্রস্তুত খুলনার খামারগুলোতে

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : ঈদুল আযহার জন্য ১০ মাস আগে থেকে খামারিরা পশু হৃষ্ট-পুষ্ট করতে শুরু করেছে। এবারের কোরবানির চাহিদার তুলনায় খুলনা জেলায় ৪০ শতাংশ পশু প্রস্তুত হচ্ছে। করোনাকালীন মন্দা অর্থনীতিতে চাহিদা হবে কিনা এ শঙ্কায় চাষী স্বল্প সংখ্যক পশু প্রস্তুত করছেন। নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করতে প্রাণী সম্পদ বিভাগ খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

গেল কোরবানিতে জেলায় ৭৪ হাজার ৮ শ’ গবাদিপশু কোরবানি হয়। তার মধ্যে ৩৮ হাজার ষাঁড়-বলদ এবং ৩২ হাজার আটশ’ ৬৯ টি ছাগল-ভেড়া। শুধুমাত্র নগরীতে বারো হাজার একশ’ ৮৬ টি ষাঁড়-বলদ কোরবানি হয়। এ তথ্য জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছেন, তেরখাদা, দিঘলীয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, কয়রা উপজেলায় গবাদী পশু মোটাতাজা করণ প্রকল্পে খামারিরা বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন। গেল বছর কোরবানির পর পরই খামারিরা নতুন করে ষাড়, ছাগল মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ইয়াসের কারণে কয়রা উপজেলায় এ প্রকল্পে যথারীতি খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া করোনায় মন্দা অর্থনীতির কারণে অন্যান্য উপজেলার খামারিরা খুব বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করেননি।

গত বৃহস্পতিবার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়ায় সাপ্তাহিক পশুরহাট বসে। শুক্রবার বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়ায় সাপ্তাহিক ছাগলের হাট বসে। আজ রোববার পাইকগাছা উপজেলার চাদখালিতেও বড় হাট বসবে। ফড়িয়ারা স্বল্প সংখ্যক ষাঁড় কিনে মোটা তাজাকরণ কাজে হাত দিযেছেন। নগরীর সরকারি সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের পেছনে নতুন একটি প্রকল্পে ১৭ টি ষাড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রাণীসম্পদ দপ্তরের খুলনাস্থ পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম মোল্লা জানান, সাধারণ নিয়মানুযায়ী গেল কোরবানির পর খামারিরা গবাদী পশু প্রস্তুত করা শুরু করেছেন। নিরাপদ মাংসের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

This post has already been read 3802 times!

Check Also

মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

সাভার সংবাদদাতা: মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় …