নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি তথ্য কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষিতে অনেক বেশি সুফল আসবে। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে পারলে কৃষি অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হবে এবং স্মার্ট কৃষিতে পরিণত হবে।
আজ (বুধবার, ৯ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের কনফারেন্স রুমে ‘করোনাকালীন কৃষিতে তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, কৃষিতে আমাদের ব্যাপক সফলতা রয়েছে। কৃষির এ সফলতা এখন সর্বজনীন স্বীকৃত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবুজ বিপ্লব ডাক দেয়ার ফলেই আজ কৃষির এ সফলতা উন্নীত করতে পেরেছি। কৃষিতে নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের খাদ্য উৎপাদন চার গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার করোনাকালীন কৃষি উন্নয়নের অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে নানামুখী প্রণোদনা কার্যক্রম চালু রেখেছে। সরকারের সক্ষমতা পরিবর্তন হচ্ছে, মধ্যম আয়ের দেশ অর্জন হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে উপনীত হওয়ার কার্যক্রমও বাস্তবায়ন হচ্ছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসকে আরো শক্তিশালীকরণের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষি মন্ত্রণালয় অন্যান্য সংস্থা থেকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী। এটি আরো উন্নত ও আধুনিক হবে। কৃষিতে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কৃষি টিভি, কমিউনিটি রেডিও স্থাপন প্রকল্প এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে রিভিজিট বাস্তবায়ন করে কৃষি তথ্য সার্ভিসকে আরো আধুনিকায়ন করা হবে। যাতে করে কৃষকের দোরগোড়ায় দ্রুততম সময়ে তথ্য সেবা পৌঁছে যেতে পারে। কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং কৃষিকে স্মার্ট করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন মাটি ও মানুষের উপস্থাপক মো. রেজাউল করিম সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচক ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের সদস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. হামিদুর রহমান। সেমিনারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার মিডিয়া ফোকাল পয়েন্টবৃন্দ, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।