নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএডিসির আলুবীজ বিভাগকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের চুক্তিবদ্ধ আলুবীজ চাষীরা। সারাদেশের আলুবীজ চাষীদের সংগঠন ‘বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ’এর পক্ষ থেকে রোববার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি কোম্পানীর হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত বিএডিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা। দেশে সাড়ে ৭ লাখ টন আলু বীজের মধ্যে মাত্র ৩৫ হাজার টন বীজ কেনা হয় চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের কাছ থেকে। বাকি বীজ নেওয়া হয় প্রভাবশালী বেসরকারি কোম্পানী থেকে। বিএডিসির বীজকে নিন্মমানের করে বেসরকারি কোম্পানীর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ওই কর্মকর্তারা। চাষাবাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও আলুবীজের নিম্নমুখি মূল্য নির্ধারণ করা হয় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে। ক্রয় করে টাকা পরিশোধেও নানা পায়তারা করা হয়। বৈরী আচরণের কারণে বিএডিসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হাজার হাজার কৃষক লোকসান গুনতে গুনতে ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বিএডিসিকে আবারো কৃষকবান্ধব করতে হবে। অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই।
সংবাদসম্মেলনে বিএডিসির চুক্তিপত্রের একতরফা চুক্তিনামা বাতিল এবং কৃষক-বিএডিসি সমঝোতা চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। আলুবীজ চাষীগণ ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে সংগঠনের তরফ থেকে ৭ দফা দাবি তোলে ধরা হয়।
দাবির মধ্যে রয়েছে- আলুবীজের মূল্য প্রতি কেজি ৩৭ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ করা, বিএডিসি আমাদের কাছ থেকে আলুবীজ সংগ্রহ ও বিতরণের সময় আলুবীজের মূল্য নির্ধারণ কমিটিতে বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ কমপক্ষে পাঁচ জন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করা, বিএডিসির নিজস্ব খামারে ভিত্তি বীজের উৎপাদন এবং সংগ্রহসহ সকল প্রক্রিয়ায় কৃষক ফোরামের প্রতিনিধি রাখা, বীজ সংগ্রহের সর্বোচ্চ ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আলুবীজের সমুদয় মূল্য কৃষকদের পরিশোধ করা, আলুবীজ বপনের পূর্বেই মুল্য নির্ধারণী কমিটিতে চাষীদের প্রতিনিধি অর্ন্তভূক্ত করা, বীজ সংগ্রহ, বিতরণ, মাঠের জমি বন্টন, কৃষকদের ব্যাংকের ঋণ প্রদানে স্বচ্ছতা এবং ফোরাম নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ, মামলা এবং চলমান প্রক্রিয়ার সাথে কাউকেই বিএডিসি কোন রূপ হয়রানি না করা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনাগুলো তোলে ধরেন ফোরামের সভাপতি রুহুল আমিন মিলন। এর আগে ফোরামের কেন্দ্রীয় সংসদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গঠন করা হয় পুর্নাঙ্গ কমিটি। ৬৪ জেলার ২৮টি জোনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জোন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।