নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএওর ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি-৩৬) সফলভাবে আয়োজনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটি খুবই আনন্দের ও সম্মানের। এ বৃহৎ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের সকল সক্ষমতা রয়েছে। এটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য আমরা সার্বিক পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকালে এ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এফএওর সহকারী মহাপরিচালক ও রিজিওনাল প্রতিনিধি জং-জিন কিমের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ও এফএওর সহকারী মহাপরিচালক থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত এফএওর আঞ্চলিক অফিস থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরেন। এছাড়া, তিনি সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করতে এফএওর সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় এফএওর সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনটি ২০২২ সালের মার্চের ৮-১১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।
প্রতি ২ বছর পরপর এ আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে প্রথম ভারতে ও গত সম্মেলন ভুটানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টিরও বেশি সদস্য দেশ অংশগ্রহণ করে। সদস্য দেশসমূহের কৃষিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ কৃষি ও খাদ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করেন। চার দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথম দুদিন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও পরের দুদিন মন্ত্রীবৃন্দ আলোচনায় মিলিত হন।
আজকের বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব তাজকেরা খাতুন ও উপসচিব আকবর আলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, এফএওর আঞ্চলিক অফিসের চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজুমি আইকেদা লারহেড, ৩৬তম এপিআরসি কনফারেন্স সেক্রেটারি ডেভিড দোয়ি, এফএও বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ এসময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।