নিজস্ব প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনেও ইদুল আযহার পরে কোরবানির মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সরবরাহ এবং মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণনের অনুমতি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে নিদের্শক্রমে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বিষয়টিকে অতীব জরুরি উল্লেখ করে রবিবার (১৮ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. অমিতাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের [প্রজ্ঞাপনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন] (স্মারক নং- ৩৩.০০.০০০০.১১৮.১৫.০১০.২০.৩৪৫) মাধ্যমে উক্ত অনুরোধ করা হয়।
উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে-বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। উক্ত নির্দেশনায় সারা দেশে খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ এবং জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ/বিক্রয় বিধি-নিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হয়েছে।
ইদুল আযহার সময় ও পরবর্তী সময়ে সমন্বিত খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ গবাদি পশু কোরবানিপূর্বক প্রক্রিয়াজাত করে সেবা গ্রহিতার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে থাকে। এ কাজ সম্পন্ন করতে ইদুল আযহার পরেও ৬/৭ দিন সময় লাগবে।
দেশের জনগণের খাদ্যের/পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদন বিপণন ও সরবরাহ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে এ সকল খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের অব্যাহত যোগান নিশ্চিত করা আবশ্যক।
বর্ণিত অবস্থায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালে কোরবানির মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, খাদ্য, ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, কৃত্রিম প্রজননের সামগ্রী ইত্যাদি উৎপাদনের খামার/কারখানা খোলা রাখাসহ সরবরাহ ও বিপণনের বিদি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত ঘোষণার জন্য নির্দেশক্রমে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।