জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম প্রিসামিটে কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি বিরূপ প্রভাব পড়বে উন্নয়নশীল দেশের ফুড সিস্টেমে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি ও খাদ্য খাতে আরো বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন করতে হবে। সেজন্য, আরো শক্তিশালী ও জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল ফুড সিস্টেম গড়তে সদস্য দেশসমূহের সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
মন্ত্রী সোমবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি ইটালির রোমে অনুষ্ঠিত ৩দিন ব্যাপী ‘জাতিসংঘের ফুড সিস্টেম প্রিসামিটের’ উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
কৃষি ও ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ কীভাবে কাজ করছে এবং এক্ষেত্রে আরো কী কী প্রয়োজন হবে- এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী প্রিসামিটে বক্তৃতা প্রদান করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গত ৫০ বছরে চালের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা দুটোই চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্তি/ জিরো হাঙ্গার অর্জনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাসত্ত্বেও ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষি জমি হ্রাস, শ্রমিক সংকট, খাদ্য নষ্ট ও অপচয়সহ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, জাতিসংঘের ডেপুটি মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্ষুধামুক্তি/ জিরো হাঙ্গার অর্জনে বাংলাদেশ কাজ করছে। একই সাথে অপুষ্টি নিরসনেও কাজ করছে। যা সরাসরি কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার সাথে জড়িত। এ লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদান ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করত হবে।
আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের ‘ফুড সামিট ২০২১’ কে সামনে রেখে এ প্রাক-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৪৫ টির বেশি দেশ এতে অংশগ্রহণ করছে। সম্মেলনটি শেষ হবে ২৮ জুলাই।