নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবনের রক্ষক বাঘ সংরক্ষণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। সুন্দরবনে বাঘের বসবাস উপযোগী নিরাপদ আবাসস্থল নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, কোভিডকালে সুন্দরবনে মানুষের উপদ্রব কম হওয়ায় বাঘের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু মানুষের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন এবং জাতীয় পশু বাঘের কোনো প্রকার ক্ষতি হতে দেয়া হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে “বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচায় লক্ষ জীবন” প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তাঁর বক্তব্যে বাঘ সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে রক্ষিত এলাকার পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে। বাঘ শিকার প্রতিরোধে সুন্দরবনের মধ্যে জিপিএস এর সাহায্যে “স্মার্ট পেট্রোলিং” পরিচালনা করা হচ্ছে। সুন্দরবনে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন বিভাগ ড্রোন ব্যবহার করছে। বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক মিঠাপানির পুকুর খনন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বর্তমানের একশত টি বাঘের সংখ্যা দ্বিগুন করতে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, বাঘ সংরক্ষণে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বন বিভাগের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন প্রমুখ।