মঙ্গলবার , নভেম্বর ১৯ ২০২৪

বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে -খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি।

বগুড়া (শান্তাহার) : বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এ সময় তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এই মূহুর্তে সরকারের চালের মজুদ ১৭ লাখ মেট্রিক টন। চলমান বোরো সংগ্রহ অভিযানে ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল সংগ্রহের সময় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, এর মধ্যোই শতভাগ চাল সংগ্রহ হয়ে যাবে। এসময় খাদ্য গুদামে মানসম্মত চাল সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, চালের মানের সাথে আপোষ করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট)) বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলায় শান্তাহার সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোতে (সিএসডি) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে  খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শীঘ্রই এর সুফল দৃশ্যমান হবে। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী স্থানীয় মিল মালিক,শ্রমিক ও খাদ্য অধিদপ্তেরর  কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে খাদ্য সংগ্রহ পরিস্থিতি নিয়ে মত বিনিময় করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি হতো শূণ্য শতাংশ কর আরোপে এবং যে কেউ আমদানি করতে পারতো। এর ফলে বাজারে আমদানিকৃত চালের সরবরাহ বেশি ছিলো ফলে দামও কমে গিয়েছিলো। এটার ফলে কৃষক কমদামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলো। প্রান্তিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে অন্য ফসলের চাষ শুরু করে।’

মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চাল আমদানিতে ৬২.৫ শতাংশ  কর আরোপ করা হয়েছিলো। মূল উদ্দেশ্য ছিলো কৃষককে ধান চাষে আবারো আগ্রহী করে তোলা এবং স্থানীয় সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করা। বর্তমান সরকার এখন কৃষকের কাছ থেকে যৌক্তিক দামে ধান সংগ্রহ করায় কৃষক উপকৃত হচ্ছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন যেমন বেড়েছে ভোক্তাও তেমনি বেড়েছে। চালের এখন হিউম্যান ও নন হিউম্যান ব্যবহার হচ্ছে। মোটা চালের বেশিরভাগ নন হিউম্যান খাতে ব্যবহার হয় যা সাধারণত হিসাব করা হয় না। এছাড়াও প্রতিবছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিপুল সংখ্যক প্রবাস ফেরত  এবং ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যের সংস্থান করতে হচ্ছে ফলে চালের বাজারে চাপ বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায়, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন,আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবীর, বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফ উজ্জামান এবং শান্তাহার সিএসডি মানেজার দুলাল উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3356 times!

Check Also

নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট …