রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

সৌরবাতির আলোয় আলোকিত জুড়ী-বড়লেখার প্রত্যন্ত পাহাড়ি সড়ক

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভুয়াই বাজার থেকে বড়লেখা উপজেলা’র চান্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত ২৮ কিমি সড়কে ৩৭৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌর সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ চলছে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এ আঁকাবাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝলমলে এ আলোর ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় কার্বন নির্গমন হ্রাস ও পরিবেশ উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ সকল সড়ক বাতি স্থাপন করা হচ্ছে ।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শহরের মতো দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়কেও সৌরবাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের শ্লোগান, “শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ “এখন আর শুধুই শ্লোগান নয়, সরকার এটা বাস্তবায়ন করেছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমান বৃদ্ধি করছে যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সরকার এজন্য সৌরশক্তি-সহ বিভিন্ন ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল  প্রত্যন্ত অঞ্চলের এধরনের সড়কে সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে।

This post has already been read 2946 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …