রাজেকুল ইসলাম (নওগাঁ): নওগাঁর রাণীনগরে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতে নদী-নালা খাল-বিল পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি রোপা-আমন মৌসুমে রোপনকৃত রোপা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নে পরিণিত হতে চলেছে। ইরি বোরো ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় রোপা মৌসুমে সুযোগ বুঝে তারা আমন ধানও বেশি পরিমাণ লাগায়। চারার দাম চড়া থকলেও চাষ যোগ্য জমি ফেলে রাখেনি এই এলকার চাষিরা। চোখের সামনে বানের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘা থেকে বিঘা জমির ধান। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কৃষি অফিস বলছে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পানি কমতে থাকলে তলিয়ে যাওয়া ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপ-আমন ধান লাগানো হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় হাজার হেক্টরের বেশি। আগষ্ট মাসের শুরুতেই মাঝে মধ্যেই বৃষ্টিপাতের কারণে রক্তদহ বিল ও বিল চৌরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কনৌজ, হরিশপুর, ভবাণীপুর, এনায়েতপুর, গোনা, পীরেরা, সোনাকানিয়াসহ বেশ, কয়েটি মাঠে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন সদ্য রোপনকৃত রোপা-আমন ধান বিলের নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে, রোদ বেশি হওয়ার সাথে সাথে বিলের পানি কমতে থাকলে তলিয়ে যাওয়া ধানগুলোর তেমন ক্ষতি হবেনা।
উপজেলার হরিশপুর গ্রামের কৃষক ছোট বাবু জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে রোপা-আমন ধান লাগিয়েছিলাম হঠাৎ বৃষ্টিপাতে বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ১ বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বাকি জমিও তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান এলাকার কৃষকরা আমাদের পরামর্শে সঠিক সময় রোপন করেছে। বিগত বছরের চেয়ে এবারে বেশি পরিমাণ রোপা-আমন ধান চাষ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে রাণীনগর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ রোপা-আমন ধান উৎপাদন হবে এমনটাই আশা করছেন তিনি। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েটি বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্মাঞ্চলের কিছু ধান তলিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এই ধানগুলোর তেমন ক্ষতি হবে না।