কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি : কোভিড ১৯ ভাইরাসের ভয়াল থাবায় এলোমেলো বিশ্ব। প্রায় একসঙ্গে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। করোনা পরবর্তী দিনগুলোতে বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হুহু করে বাড়বে তার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই জাতিসংঘ দিয়েছে। আসন্ন দুর্ভিক্ষকে বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এখন থেকেই খাবার মজুদ করে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে। যাতে প্রতিটি বাড়ির আনাচে কানাচে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি দিয়ে ভরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, ‘যদিও আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে, তথাপি সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষক ভাইদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১০ বছরে কৃষি খাতে ৩.৭ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।’ করোনা পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে বিশ্ব এখন মন্দার যুগে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবজাতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে। সারা বিশ্বের মতো অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার প্রবল ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশেরও। বাংলাদেশের মুলত স্তম্ভ তিনটি ১. কৃষি ২. পোষাক রপ্তানি ৩. প্রবাসি শ্রমিক। আইএমএফ এরই মধ্যে জানিয়েছে দেশের অর্থনীতির বড় দুই অনুষঙ্গ পোশাক রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ক্ষতিটা হচ্ছে বেশি। তবে শত শত বছর ধরে এই এলাকার মানুষের জীবন ধারণের অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে কৃষি। তাই সহজে এই খাত ভেঙ্গে যাবার নয়।
করোনা সংকট দীর্ঘায়িত হলে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে তা অনুমান করা কঠিন। তবে এটা নিশ্চিত মারাত্মক ঝুকির মধ্যে পড়বে আগামীর খাদ্য নিরাপত্তা। ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতির সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-
১. এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে।
২. করোনা পরবর্তী দুর্ভিক্ষ্ রুখতে পারে একমাত্র কৃষিই।
৩. কৃষিই মানুষকে দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচাতে পারে।
৪. কথায় আছে পেটে গেলে পিঠে সয়।
৫. এ সময় যারা পোল্ট্রি ও ডেইরি নিয়ে কাজ করছেন তাদের তা ফেলে না দিয়ে অল্পদামে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করুন।
৬. সারাবিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। আমাদের মাটি অত্যন্ত ঊর্বর। আমাদের খাদ্যের যেন সমস্যা না হয়।
৭. ধান ওঠার পরপরই যেন ফসল আমরা ফলাতে পারি, কেউ যেন এক টুকরাও জমিও ফেলে না রাখে।‘তরি-তরকারি, ফলমূল যে যা পারেন উৎপাদন করবেন।
৮. প্রত্যেকে উদ্যোক্তা হন। এখন তো সবাই ঘরে বসে আছেন। কাজেই যে যেটুকু পারেন একটু গাছ লাগানো, বাগান করা। আর রোদের আঁচে করোনাভাইরাস বেশিক্ষণ টিকতে পারে না। সুতরাং এটা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সৃষ্টি করবে, কাজেই সেটা আপনারা করবেন।
এসকল উক্তি হতেই বোঝা যাচ্ছে বর্তমান কৃসি বান্ধব সরকার এই খাত সম্পর্কে কতটা তৎপব। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৩১ দফা নির্দেশনাতেও কৃষি, কৃষক, কৃষি শ্রমিক, খাদ্য উৎপাদন, পতিত জায়গা ব্যবহার, বাজার ব্যবস্থা ও চাষাবাদেও মতো গুরুত্বপুর্ন বিসয় সুন্দরভাবে সংযোজিত হয়েছে।
যেমন-
১২ দফাঃ দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকে। তাদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।
১৫ দফাঃ খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক প্রকার ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোন জমি যেন পতিত না থাকে।
১৬ দফাঃ সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে। যাতে বাজার চালু থাকে।
২২ দফাঃ সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন: কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্সা/ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
২৭ দফাঃ কৃষকগণ নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
করোনা পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহিত কিছু পদক্ষেপ
১. ‘কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ শীর্ষক পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন ৫ শতাংশ সুদের কথা বলা হলেও পরদিন ৪ শতাংশ সুদের হার ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার প্রকাশ হয়েছে।
২. এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য ১৫০ কোটি টাকার বীজ/চারা বিতরণের জন্য বরাদ্দ।
৩. কৃষি যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতার জন্য আরো ১০০ কোটি টাকা (পূর্বের বরাদ্দকৃত ১০০ কোটির সাথে) বরাদ্দ।
৪. আগামী অর্থ বছরে সারের জন্য ৯০০০ কোটি টাকার ভর্তূকী প্রদানের সিদ্ধান্ত।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণ
জলবাযু পরিবর্তন সহ নানা কারনে কৃষি কাজ কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাই কৃষি শ্রমিক কৃষি পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য মতে বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৩ ভাগ শ্রমিক কৃষির সাথে জড়িত যা ২০২০ সালে কমে হবে ৩৬ ভাগ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ কমে যাবে ২০ ভাগ। দিন দিন কৃষিতে কৃষি শ্রমিকের অপ্রতুল্যতা নিঃসন্দেহে আগামীর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সময় এসেছে আংশিক কৃষি যান্ত্রিকীকরনের পরিবর্তে সম্পূর্ন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। আর এর ফলে উত্তম কৃষি ব্যববস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশ লাভবান হতে পারবে।
তবে এদেশের কৃষক কৃষি যন্ত্রপাতির সাথে এখনও সেভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেনি। মাঠে যন্ত্র ব্যবহারে বিড়ম্বনায় পড়লে কৃষক যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহী হবে না। তাই উপজেলায় কমপক্ষে একটি সরকারী তত্ত্বাবধায়নে কৃষি যন্ত্র মেরামত সেবা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। ইতিমধ্যে অনেক উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে যন্ত্র সেবা কেন্দ্র আছে। যেখান হতে কৃষকভাইয়েরা সহজে যন্ত্র সেবা নিতে পারছেন। কৃষিতে যত যন্ত্রের ব্যবহার বাড়বে উৎপাদন ব্যয় সে হারে কমবে এবং দুই ফসলের মধ্যবর্তী সময় কমে ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে সাহায্য করবে। আমাদের পার্শ¦বর্তী দেশ চীন, জাপান, ভিয়েতনাম এবং ভারতে কৃষিতে যন্ত্রেও ব্যবহার আমদের চেয়ে অনেক কম। সেজন্য আমাদের দেশে ফসলের গড় ফলন সে সব দেশের চেষে কম।
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার অর্ধেকটা নির্ভর করে বোরো ধান উৎপাদনের উপর। তাই দেশের সকল জেলার বোরো ধান কৃষক সঠিক সময়ে কেটে ঘরে তুলতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘœ ঘটতে পারে। এই জন্য প্রয়োজন কৃষি যান্ত্রিকীকরণ।
ইতিমধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি বলেছেন, বোরো ধানসহ সকল ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে, সেজন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। ধান রোপন, কাটা, মাড়াই এবং শুকানোসহ সব কাজে যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আর সেলক্ষে এবছর ভর্তুকি মূল্যে ২০০ কোটি টাকার কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লানটারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে বিতরণ চলছে।
কৃষিবান্ধব সরকারের সদিচ্ছা, কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনায় বিগত ৭-৮ বছর ধরে দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কাজ তরান্বিত হয়েছে। ৫০-৭০% ভূর্তুকীতে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে কম্বাইন হার্ভেস্টার, রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার।
করোনা মোকাবেলায় যে সকল আশু পদক্ষেপ নিতে হবে-
১. প্রান্তিক চাষিদের জন্য আরোও ধান, গম, ডাল কিংবা কোনো শাকসবজি চাষের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থাকরন ।
২. সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংক গুলোর জন্য ২ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ আরোও বৃদ্ধিকরণ
৩. ইতিমধ্যে সরকার মাত্র ছয় লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কিনবে। সাথে সাড়ে ১১ লাখ টন চালও কিনবে, যা কৃষকদের জন্য উপকারী। দেশে আরোও খাদ্য গুদাম স্থাপন করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় আরোও বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি গোডাউন ব্যবহার করতে হবে।
৪. প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ, বীজ, সার, বালাইনাশক, সেচ ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি যন্ত্রপাতির সঠিক সময়ে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. প্রশাসনের সহায়তায় কৃষি পণ্যের পরিবহন, গুদামজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ কাজসমূহ নির্বিঘ্ন হয় সে ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনে নতুন ভাবে শুরু করা।
৬. ভারত ও ভিয়েতনামের মতো শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশগুলো তাদের মজুত সংরক্ষণের জন্য রপ্তানি বন্ধ করতে পারে। বিশ্বের প্রায় সব দেশই এ মুহূর্তে রপ্তানির চেয়ে নিজেদের মজুতকেই প্রাধান্য দিবে । তাই কৃষককে অধিক প্রণোদনা দিয়ে কৃষি কাজের সাথে যুক্ত রাখতে হবে এবং আনÍর্জাতিক বাজার ধরার জন্য জোর প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে।
৭. ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ থেকে ৬০ কোটি বাড়তে পারে। বর্তমানে দেশের ১৬ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার ৩ কোটি ৩০ লাখ দরিদ্র এবং এর ভিতরে ১ কোটি ৭০ লাখ অতিদরিদ্র। এই পাঁচ কোটি মানুষের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
৮. এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যটি পূরণ করতে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এই যখন প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে কৃষি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
৯. গ্রামাঞ্চলে কৃষকের বসতবাড়িতে এবং শহরাঞ্চলের বাড়িতে ছাদকৃষি দ্রুততার সাথে করতে হবে।
১০. পচনশীল ফসলের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। দেশে ৩০-৩৫টির মতো প্রচলিত সহ প্রায় ৯০টির মতো সব্জি দেশের ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন হেক্টর জমির মধ্যে ৯.৩৮ শতাংশ জমিতে চাষ হচ্ছে। গত ২০১৮ সালেই কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় । এই যখন অবস্থা তখন এই দুর্যোগে নজর দিতে হবে পচনশীল এসব ফসলের দিকে। কোনোভাবেই এসব ফসলের বিপণন, পরিবহন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
১১. ভুট্টা, গম, আলু, পেয়াজ, রসুন সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে কৃষকদের সহযোগীতা করতে হবে।
১২. হাওড় অঞ্চলের বোরো ধান কাটতে প্রতিবছর প্রায় দশ হাজারের অধিক কৃষি শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল হতে সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৭ টি জেলার হাওড় অঞ্চলে গমন করে। এই শ্রমিকদের তালিকা প্রস্তুত, নিবিড় যোগাযোগ করে ধান কাটা নির্বিঘœ করতে হবে।
১৩. প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে একটি সরকারী তত্ত্বাবধায়নে কৃষি যন্ত্র মেরামত সেবা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। যেখানে প্রশিক্ষণ এং মেরামত সংক্রান্ত কাজ এক সাথে হবে।
১৪. ডিজিটাল কৃষি সম্প্রসারণ সেবা তথা ই-কৃষির ব্যবহার আরোও বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজনে সকল সম্প্রসারণকর্মীও জন্য মোবাইল ও ইন্টারনেট ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে, দুর্ভিক্ষে, সংকটে সরকার প্রধানের আস্থার জায়গা কৃষি। আমাদের উর্বর সোনার মাটি আছে, আছে হেওে না যাওয়া মুক্তিযুদ্ধে জয়ী পরিশ্রমী মানুষ । আমরা ভয়কে জয় করার ক্ষমতা রাখি। ইতিমধ্যে এদেশের মানুষ পৃথিবীর বুকে নানা ইর্শ্বণীয় পরিসংক্যান স্থাপন করতে সামর্ত হয়েছে যেমন: ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবনে বিশ্বের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ, বিশ্ব পাট উদ্ভাবনে দ্বিতীয়, আলুতে বিশ্বে অষ্টম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম। এসব কিছুই সম্ভব বর্তমান কৃষিবন্ধব সরকারের দূরদর্শিতা, সময়মতো বিনিয়োগ এবং কৃষক এবং কৃষি বিভাগের আন্তরিকতার কারণে। এখন কৃষকদের মাঝে সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরাসরি কৃষি পরামর্শ সেবা ও লিফলেট বিতরণ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষি কলসেন্টার, ফেসবুক, ইউটিউব, মোবাইল অ্যাপস এর মতো ই-কৃষি বা ডিজিটাল কৃষি সেবার মান ও সক্ষমতা আরোও বৃদ্ধি কওে কৃষকদের সেবা প্রদান।