মো. দেলোয়ার হোসেন (রাজশাহী) : চলতি খরিপ/২০২১-২২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ ও নাবী পাট বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা কৃষি অফিস চত্তরে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মো: সিরাজুল ইসলাম রাজু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব মো: আবু রেজা খান। অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন আদমদিঘী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শ্রাবন্তী রায়।
শুরুতে আদমদিঘী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব মিঠু চন্দ্র অধিকারী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচীর আওতায় চলতি মৌসুমে ১০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ ও নাবী পাট বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। তন্মধ্যে পিয়াজ আবাদে ৭০ জন কৃষকের ৫ জনের গ্রুপে জন্য ৫ কেজি নাশিক রেড এন-৫৩ জাতের পিয়াজ বীজ, ১০০ কেজি ডিএপি, ১০০ কেজি এমওপি, পলিথিন, নাইলনের সুতলী ও বালাইনাশক এবং পাট বীজ উৎপাদনে ৩০ জন কৃষকের জন্য ৫ জনের গ্রুপের ২.৫ কেজি বীজ, ৫০ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি ডিএপি ও ৫০ কেজি এমওপি সার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এই সকল সরকারী প্রনোদনার সহায়তা কাজে লাগিয়ে পিয়াজ ও পাট বীজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার জন্য তিনি উপস্থিত কৃষকদের অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্যসহ সকল মৌলিক চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই দেশের মসলা চাহিদা মিটাতে পিয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে রবি মৌসুমের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালিন পিয়াজের আবাদ বাড়াতে হবে এবং সেই সাথে পাট জাতীয় পণ্যের চাহিদা মিটাতে পাট উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে নাবীতে পাট বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে বীজের ঘাটতি পুরুনে অগ্রনী ভুমিকা রাখবে। সেজন্য বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার পাট ও পিয়াজের আবাদ বৃদ্ধির জন্য প্রনোদণা সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই প্রনোদনার সহায়তা কাজে লাগিয়ে পিয়াজ চাষ ও পাটের আবাদ বৃদ্ধিতে বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির আহবান জানান। পরিশেষে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে পাট বীজ ও পিয়াজ উৎপাদন এবং কৃষি উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে মসলার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জমির পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে ফলে রবি মৌসুমের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালিন পিয়াজ ও পাট বীজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই তিনি সকল কৃষকদের প্রনোদণা সহায়তা কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, প্রনোদণা সহায়তাগ্রহনকারী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকসহ প্রায় ১২০ জন উপস্থিত ছিলেন। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে প্রণোদনা বিতরণের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমুগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ দিপ্তী রাণী রায়।