নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ত্রুটি সব অর্জন ম্লান করে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ উপখাতের প্রকল্পসমূহের আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ দেশপ্রেম থেকে আসা উচিত। শুধু দাপ্তরিক সময়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করলেই কাজ শেষ নয়। অর্পিত দায়িত্ব পালন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে হবে।”
তিনি আরো যোগ করেন, “রাষ্ট্রের সম্পদের প্রতি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে হবে। যেকোন প্রকল্প শেষে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। দায়িত্বে গাফিলতি করা চলবে না। শৈথিল্য, অনিয়ম, দুর্নীতি যেখানে হবে, সেখানে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় করলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।”
“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর উপকৃত হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের অনেক মানুষ সম্পৃক্ত। এর মাধ্যমে অনেক অসহায়-ছিন্নমূল মানুষ ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছে। অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে। এ বিষয়টি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।”- যোগ করেন মন্ত্রী।
করোনা সংকটের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ সময় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিলসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১৮টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৬টি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১টিসহ মোট ২৫টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।