কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : বাংলাদেশে শাকসবজি, ফল ও পান ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় “জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক” আঞ্চলিক প্রযুক্তি হস্তান্তর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ”- প্রকল্পের অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর (রাজশাহী) –এর প্রশিক্ষণ কক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. সমজিৎ কুমার পাল, পরিচালক (গবেষণা) বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সিটিটিউট, ঈশ^রদী, পাবনা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপপরিচালক কেজেএম আব্দুল আউয়াল। আর অনুষ্ঠানটির সভাপতি ছিলেন ড. দেবাশীষ সরকার, পরিচালক, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, বিএআর আই, ঈশ্বরদী, পাবনা এবং অনুষ্ঠানটির সাবলীল উপস্থাপনা করেন কৃষিবিদ ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মণ, প্রধান , সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বরেন্দ্র কেন্দ্র।
অতিরিক্ত সচিব তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের চলমান কৃষি উন্নতির বিভিন্ন দিক এবং কৃষিবান্ধব সরকারের আগামীর কর্মকৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে কৃষকের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। টেকসই ও পরিবেশ সম্মত উপায়ে কৃষকের ফসল উৎপাদন এবং আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানান। এছাড়া নিরাপদ সবজি উৎপাদনে বালাইনাশক ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতেও তিনি আহবান জানান।
কর্মশালায় পোকামাকড় এবং রোগবালাই দমনে জৈব বালাইনাশক ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার, আঠালোফাঁদ, সহজে শাকসব্জি হতে কিটনাশকের অবশিষ্টাংশ দূরীকরণের উপায়, নারিকেল গাছে পোকা দমনের জন্য ব্যান্ডিং, ফলে ব্যাগিং করার কৌশল ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়।
রোগ পোকামাকড় দ্বারা বাংলাদেশে সবজি ও ফলে প্রায় ২৫-৩০% ক্ষতি হয়ে থাকে। তা সত্তেও বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বর্তমানে বিশ্বে ৩য় স্থানে রয়েছে এবং সবজির আবাদি জমির পরিমান বৃদ্ধির দিক দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার লাভ করেছে। ফল চাষেও বাংলাদেশ সফল, যেমন আম উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম, মোট ফল উৎপাদনে ২৮ তম সহ আছে অনেক সুখকর পরিসংখ্যান। এমনি এক বাস্তবতায় এই কর্মশালাটি বাস্তবসম্মত বলে কৃষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাগণ মতপ্রকাশ করেন।
কর্মশালায় সাংবাদিক, কৃষক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, গবেষণা এবং সম্প্রসারণ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।