Tuesday , April 22 2025

রাজশাহীতে ফল ও শাকসব্জি সংরক্ষণে মিনি কোল্ড স্টোরেজ ও কর্মশালার উদ্বোধন

কৃষিবিদ মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর বাজারে ৪ টন ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট ফল ও শাকসব্জি সংরক্ষণের জন্য মিনি কোল্ড স্টোরেজের উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টায় উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ এবং সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. কেজেএম আব্দুল আউয়াল। কারিগরি বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. এস.এম.হাসানুজ্জামান।

পরীক্ষামূলক সংরক্ষণরে জন্য স্থাপিত এই ধরনের মিনি কোল্ড স্টোরে আম, টমেটো, ড্রাগণ ফল, গাজর প্রভৃতি ফল  এবং বিভিন্ন শাক-সবজি রাখা যাবে। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ৪% অক্সিজেন মেইনন্টেন এবং ইথিলিনের কন্ট্রোল করে  ফল ও শাক-সবজি সংরক্ষণকাল প্রায় ১ মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।  এটি ছাড়াও চাঁপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং নাটোরের আহমদপুরে যথাক্রমে ৮ এবং ৪ মে:টনের আরোও দুটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপিত হচ্ছে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হলে আরোও সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানের আগে সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র, সীমান্ত অবকাশ, রাজশাহীতে সকাল ১০ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ একই প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের বাস্তবায়িত কার্যক্রম পর্যালোচনা শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা-২০২১-এর উদ্বোধন করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ধান গবেষণা, এসআরডিআই, ফল গবেষণা, গম ও ভুট্টা গবেষণা, লাক্ষা গবেষণা, বিনা, বিএডিসি, বিএমডিএ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সবজি ও ফল উৎপাদনে পৃথিবীতে এক রোল মডেল। তবে হিমাগার তৈরি করলে কৃষকরা ফল ও শাক-সবজির অনাকাঙ্খিত সংগ্রহত্তোর ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা ও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সেই সাথে দেশের পুষ্টি দারিদ্রতা দুর হবে এবং পরিবারের পুষ্টির সুষম বন্টন নিশ্চিত হবে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে ফল ও শাক-সবজির সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রায় ৫০% এর উপর; বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম নয়। ফল ও সবজির সঠিক সংরক্ষণের অভাবে কৃষক অনেক সময় সঠিক দাম পাচ্ছে না। ক্ষুদ্র পরিসরে তৈরি হিমায়িত সংরক্ষণাগার এই ক্ষতি লাঘবে অনেক ভূমিকা রাখতে পারবে। এর ফলে কৃষকের আয় বাড়াতে সহায়তা করবে এবং গ্রামীণ পর্যায়ে এই মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করে কৃষিপণ্য সংরক্ষণের এক বিপ্লব সাধিত হতে পারে।

This post has already been read 4129 times!

Check Also

বগুড়ায় তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাবনা সংবাদদাতা: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়ার আয়োজনে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় …