নিজস্ব প্রতিবেদক : “জলাতঙ্ক : ভয় নয়, সচেতনতায় জয়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২১ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বর্ণাঢ্য র্যালি ও জলাতঙ্কের ওপর বৈজ্ঞানিক পেপার উপস্থাপনসহ সেমিনারের আয়োজন করা হয় রাজধানীর খামারবাড়ি সংলঘœ প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরে।
কর্মসূচির শুরুতে জলাতঙ্ক সচেতনতা বিষয়ক র্যালি প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়। এসময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ জলাতঙ্কের ওপর বিভিন্ন সচেতনামূলক লেখাযুক্ত প্লেকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার হাতে নিয়ে র্যালী প্রদক্ষিণ করে। প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান র্যালির নেতৃত্ব দেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় জলাতঙ্কের ওপর সচেতনতামূলক লিফলেট এবং পোস্টার বিতরণ করেন।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারে জলাতঙ্ক রোগ ও তা নিরাময়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরকে টিকা দেওয়া ও ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. আবু সুফিয়ান। ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, পরিচালক (প্রশাসন) এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্মীলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক কর্মকৌশলের মাধ্যমে এই অবহেলিত রোগটির বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে । এর ফলে জলাতঙ্কজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০০৯ সালে আনুমানিক ২০০০ এর অধিক থেকে কমে ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৩০ এ নেমে এসেছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রোগ্রাম লিড, ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি প্রোগ্রাম বাংলাদেশ। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক ও ডা. ঘীরেশ রঞ্জন ভৈৗমিক, তথ্য দপ্তরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. এনামুল কবিরসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।