ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : খুলনা জেলার দিঘলিয়া, তেরখাদা, রূপসা, দকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার নদ-নদীতে বছরে ১৪ শ’ মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী ১৬ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে। জেলার কাজীবাছা, রূপসা, ভৈরব ও আঠারোবেকী নদীতে ইলিশ বিচরণ করছে। মা ও জাটকা নিধন বন্ধ হলে এবং মধুমতি ও গড়াই নদীর প্রবাহ বাড়লে খুলনাঞ্চলে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ের সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রথম দফায় ৬৫ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় খুলনার সাড়ে চারশ’ জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়েছে। বক্তারা আশা করেছেন মা ও জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ হলে ইলিশ সম্পদের উৎপাদন বাড়বে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বড় অংকের টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনাঞ্চলের নদ-নদী স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। তিনি সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পোনা আহরণ করতে যেয়ে অন্য প্রজাতির মাছের পোনা নষ্ট না করার জন্য জেলেদের প্রতি দাবি রেখেছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে উল্লেখ করা হয়, নভেম্বর-জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ, মা ইলিশ রক্ষা ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ইলিশ সম্পদকে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসককে সভাপতি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদ-নদীতে কোনো মৎস্য আহরণ না করার ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেছেন।